ভারতে প্রথমবার পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি: সমীক্ষা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২১
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার সংখ্যার হিসাবে পুরুষের চেয়ে এগিয়ে গেলেন নারীরা। দেশটির সবশেষ জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য সমীক্ষায় (এনএফএইচএস) উঠে এসেছে এমন তথ্য। পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতে বর্তমানে প্রতি এক হাজার পুরুষের বিপরীতে নারী রয়েছেন ১ হাজার ২০ জন। তবে এতে খুব বেশি খুশি হওয়ার উপায় নেই। কারণ ওই একই সমীক্ষা বলছে, দেশটিতে এখনো ছেলেশিশুর তুলনায় কন্যাশিশুর জন্মহার কম।

গত বুধবার (২৪ নভেম্বর) প্রকাশ করা হয়েছে ভারতের পঞ্চম জাতীয় পরিবার এবং স্বাস্থ্য সমীক্ষার ফলাফল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে ভারতে প্রতি এক হাজার পুরুষের বিপরীতে নারীর সংখ্যা ছিল ৯২৭। ২০০৫-০৬ সালের সমীক্ষায় পুরুষ ও নারীর সংখ্যা সমান দেখা যায়। কিন্তু ২০১৫-১৬ সালে তা আবার কমে গিয়েছিল। সেই সমীক্ষায় পুরুষ ও নারীর অনুপাত দাঁড়িয়েছিল ১০০০: ৯৯১।

তবে ২০১৯-২০২১ সালের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, পরের পাঁচ বছরে ভারতে নারীর সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে। অবশ্য পরিসংখ্যান বলছে, দেশটির ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখনো নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যাই বেশি। আর শহর-গ্রামের তুলনা করলে ১৪টি রাজ্যের গ্রামে এবং ২২টি রাজ্যের শহরে পুরুষের আধিপত্য বেশি।

jagonews24

আবার অনেকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, নারী-পুরুষের গড় আয়ুর মধ্যেও বেশ ফারাক রয়েছে। ভারতের সরকারি তথ্যমতে, ২০১০-১৪ সালে দেশটিতে পুরুষ ও নারীর গড় আয়ু ছিল যথাক্রমে ৬৬.৪ ও ৬৯.৬ বছর।

সমীক্ষা অনুসারে, গত পাঁচ বছরে জন্মের সময় ছেলে এবং মেয়ের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১০০০:৯২৯। এ থেকেই স্পষ্ট যে, ভারতে এখনো ছেলে সন্তানের প্রাধান্য রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আশাবাদী দেশটির প্রশাসনিক মহল।

ভারতের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কর্মকর্তা ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিকাশ শীল বলেন, পুরুষ ও নারীর অনুপাত ভালো অবস্থানে থাকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আদমশুমারি থেকে প্রকৃত ছবি স্পষ্ট হলেও এই ফলাফলের দিকে তাকিয়ে বলতে পারি, নারীর ক্ষমতায়নে আমাদের পদক্ষেপগুলো সঠিক দিকেই অগ্রসর হচ্ছে।

সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, হিন্দুস্তান টাইমস

কেএএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।