জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ১
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদীর নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময়ের সময় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ৬০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে স্কুল শিক্ষার্থীরাও। এখনো ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
কুলগামের আশমুজি এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অবস্থান করছে এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযান শুরুর পরেই দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এরপরই সেখান থেকে এক বিচ্ছিন্নতাবাদীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে আটকে পড়া ৬০ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ওই এলাকা এখনো ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
গত সপ্তাহে কুলগামেই সেনা-বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের সময় হিজবুল মুজাহিদিনের এককর্মীসহ শীর্ষ কম্যান্ডার নিহত হন। নিহত মুজাহিদিন কম্যান্ডার এইচএম শিরাজ মলভি ২০১৬ সাল থেকে হিজবুলের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গেছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ ও পিরপাঞ্জাল অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ১১ অক্টোবর সুরানকোট বনে অভিযান শুরু হয়।
জম্মু-কাশ্মীরে সবচেয়ে দীর্ঘতম অভিযান পরিচালনা করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না তারা। বরং বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জঙ্গলের মধ্যে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
১৯৪৭ সালের পর থেকেই কাশ্মীরের কিছু অংশ ভারত আর কিছু অংশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে কাশ্মীরকে দু’পক্ষই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে স্বাধীনতার দাবিতে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ভারতের সেনাদের সঙ্গে লড়াই করে আসছে। ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রায়ই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে ওই অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
দু’পক্ষের মধ্যে চলমান এই লড়াইয়ে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, সেনা সদস্য ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নিহত হয়েছে। পাকিস্তান এসব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ ভরতের। তবে বরাবরই পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
সূত্র: ইন্ডিয়াটুডে
এমএসএম/জেআইএম