বরিশালের ১৭৬টি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ হাজার সদস্য


প্রকাশিত: ০৭:২৫ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

বরিশাল বিভাগের ১৭ পৌরসভার ১৭৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ১১৮টি কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া কম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ২৮টি। মাত্র ৩০টি কেন্দ্রকে সাধারণ ভোট কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ওই সকল কেন্দ্রে ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০ জন ভোটার। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে অস্ত্রধারী-নিরস্ত্র পাঁচ হাজারের অধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া সেদিন আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে ১৭ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন।

বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলার ৬টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ৬টি পৌরসভায় ৩৪টি কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, কম ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি এবং সাধারণ কেন্দ্র হচ্ছে ১৪টি।

এ জেলার গৌরনদী পৌরসভায় ১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৫টি কম ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে সাধারণ কোনো কেন্দ্র নেই। মুলাদীতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৫টি, কম ৩টি এবং সাধারণ ১টি। মেহেন্দীগঞ্জে অধিক ৫টি, কম ১টি এবং সাধারণ ৩টি। বানারীপাড়ায় অধিক ৭টি, কম ১টি এবং সাধারণ ১টি।

বাকেরগঞ্জে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩টি ও সাধারণ ৬টি এবং উজিরপুরে অধিক ৬টি এবং সাধারণ ৩টি। এ দু’টি পৌরসভায় কম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই। ভোলা জেলার ৩টি পৌরসভায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হচ্ছে ১৮টি, কম ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি। সদর পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের সবক’টিকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কোনো কেন্দ্র নেই। তবে কম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে ৬টি এবং সাধারণ ৩টি। দৌলতখান পৌরসভার ৯টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হচ্ছে ৯টি। এ পৌরসভায় সাধারণ কোনো কেন্দ্র নেই।

বরগুনা জেলার ৩টি পৌরসভায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হচ্ছে ২০টি। এছাড়া কম ঝুঁকিপূর্ণ ৩টি এবং সাধারণ হচ্ছে ৪টি। এ জেলার সদর পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের সবক’টিকেই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বেতাগীতে অধিক ৫টি এবং সাধারণ ৪টি। এ পৌরসভায় কম ঝুঁকিপূর্ণ কোনো কেন্দ্র নেই। পাথরঘাটায় অধিক ৬টি এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ৩টি। এখানে সাধারণ কোনো কেন্দ্র নেই।

পটুয়াখালী জেলায় ২টি পৌরসভায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হচ্ছে ১৪টি এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই। এ দু’টি পৌরসভায় সাধারণ কেন্দ্র হচ্ছে ৪টি। কলাপাড়া পৌরসভায় ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ২টি সাধারণ। কুয়াকাটার ৭টি অধিক এবং ২টি রয়েছে সাধারণ কেন্দ্র।

ঝালকাঠির জেলায় শুধুমাত্র নলছিটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ পৌরসভায় ১০টি কেন্দ্রের সবগুলোই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। পিরোজপুর জেলা সদরে ১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ২টি সাধারণ। স্বরূপকাঠিতে ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩টি সাধারণ কেন্দ্র।

এই ১৭টি পৌরসভায় ভোটার রয়েছে দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০ ভোটার। এর মধ্যে এক লাখ ৪০ হাজার ১১৬ পুরুষ এবং এক লাখ ৩৫ হাজার ৯২৪ জন মহিলা। নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবির জানান, পাঁচ হাজারের অধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রধারী ও নিরস্ত্র সদস্যরা নির্বাচনকালীন সময় কাজ করবেন।

বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মীর শাহজাহান জানান, সাধারণ কেন্দ্রে পাঁচজন করে বন্দুকধারী পুলিশ, দুইজন করে বন্দুকধারী আনসার এবং লাঠি হাতে ১৩ জনসহ মোট ২০ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে একজন বন্দুকধারী পুলিশ বেশি থাকবে। বিজিবির সদস্যরা নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবেন কি-না সে বিষয়ে কেন্দ্র থেকে তাকে কোনো নির্দেশনা সোমবার পর্যন্ত দেয়া হয়নি বলে জানান।

উল্লেখ্য, ১৭ পৌরসভায় ১৬ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬০ প্রার্থী, ৪৭ সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ১৪৭ এবং ১৫৩ সাধারণ কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ৫০৭ প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

এদিকে পিরোজপুর সদরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান মেয়র আওয়ামী দলীয় মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমান মালেক এবং বরিশালের বানারীপাড়ার একটি ওয়ার্ড ও ভোলার দৌলতখানে ‍দুইজন এবং বোরহানউদ্দিনে একজন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

সাইফ আমীন/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।