খালেদা জিয়া ভাড়াটে রাজনীতি করেন : আবদুল গাফফার চৌধুরী
`আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি` এই অমর গানের স্রষ্টা, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, তিনি দেশের রাজনীতি করেন না। তিনি ভাড়াটে রাজনীতি করেন। তিনি সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
তিনি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যার বিষয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, তিনি শহীদদের সংখ্যা নিয়ে তামাশা করেছেন। কোনো দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে তামাশা করতে পারেন না।
বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের একটি অংশ। জামায়াত-বিএনপি এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি এতে মদদ দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম প্রিয়, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। তারা এ জঙ্গিবাদকে সমর্থন করেন না। জঙ্গিপনায় আন্তর্জাতিক চক্রান্তের সঙ্গে জাতীয় চক্রান্ত যুক্ত হয়েছে। আইন করে জঙ্গিবাদ দমন করা যাবে না। সামাজিক চেতনা ও সংঘবদ্ধ জনশক্তি দিয়ে একে প্রতিরোধ করতে হবে।
তিরি আরও বলেন, অন্য কোনো দেশ হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হতো। কিন্তু শেখ হাসিনা তা নেবেন না। আর উনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন না এবং ক্ষমাও চাইবেন না। কারণ, উনার পেছনে আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীরা মদদ দিয়ে যাচ্ছে। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি। তার যে স্বপ্নকে আততায়িরা কেড়ে নিয়েছে, তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে সে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
এর আগে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়া এসে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন।
এসময় সেখানে তার মেয়ে বিনীতা চৌধুরী, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম এমরান হোসেন, আতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম আক্কাস আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকু, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র এস এম ইলিয়াস হোসেন, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেয়র শেখ আহম্মদ হোসেন মীর্জা, জাতীয় কবিতা পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি কবি রবীন্দ্রনাথ অধিকারী, সাধারণ সম্পাদক গাজী লতিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ভবনে যান ও পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে এ নিয়ে তিনি তিনবার টুঙ্গিপাড়ায় গেলেন। এবার গিয়েছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম নির্মাণের উদ্দেশ্যে। বিকেলে তিনি টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকায় ফিরে আসেন।
এস এম হুমায়ূন কবীর/এমজেড/পিআর