উপজেলায় জরুরি বিভাগ ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ


প্রকাশিত: ০১:১৩ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

উপজেলা হাসপাতালগুলোতে জরুরি বিভাগের সেবা ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘তৃণমূল পর্যায়ে সেবার মান বাড়াতে করণীয়’ বিষয়ে এক বৈঠকে সভাপতিত্বকালে তিনি এই নির্দেশ দেন।

এজন্য চিকিৎসক, নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবলের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন তিনি। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করছে, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে উপজেলা পর্যন্ত সব হাসপাতালকে সমৃদ্ধ করে তুলেছে। গ্রাম পর্যায়ে ৬ হাজারের বেশি চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসক সংকট দূর করা হয়েছে। তারপরও উপজেলা হাসপাতালে চব্বিশ ঘণ্টা জরুরি বিভাগ চালু থাকবে না, তা হতে পারে না।

গ্রামাঞ্চলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ যেন দ্রুত জরুরি সেবা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। চিকিৎসক, নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল যেন জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। কোনোভাবেই উপজেলা হাসপাতালে সার্বক্ষণিক জরুরি চিকিৎসা ব্যাহত হতে দেয়া যাবে না।

গ্রাম পর্যায়ে সরকার হাসপাতালের শয্যা বাড়ালেও প্রয়োজনীয় নার্সসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কম থাকায় রোগী সেবায় বিঘ্ন ঘটছে বলে এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে চিকিৎসক অনুপাতে নার্স এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে দ্রুত উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় যেমন একদিকে মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি সরকারি ভবন ও আধুনিক যন্ত্রপাতিও অব্যবহৃত থেকে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালগুলোতে জনবলের শূন্যতা পূরণে উদ্যোগ নেয়া দরকার।

সভায় দেশের কয়েকটি জেলায় সিভিল সার্জন পদে যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে কয়েকজন চিকিৎসককে পদায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসময় স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊধ্র্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এমইউ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।