ছিটমহল বিনিময়ে রাজি মমতা


প্রকাশিত: ১১:৪৪ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় নিয়ে আপত্তি প্রত্যাহার করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই বিনিময়ের ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তাদের ক্ষতিপুরণে দিয়েই বাংলাদেশের সাথে ওই চুক্তি করার দাবি তুলেছেন তিনি। মমতার দাবি এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্র সরকারকে। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের সাথে কথা বলেই ক্ষতিপূরণ ঠিক করতে হবে।
 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ছিটমহল বিনিময়ে স্থানীয় লোকেদের আপত্তি না থাকলে, আমার আপত্তি থাকার কথা নয়। আমরা সমীক্ষা করে দেখেছি, স্থানীয় লোকের আপত্তি নেই। তারা কেবল উপযুক্ত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ চাইছেন।
 
ক্ষতিপূরণ নিয়ে দিল্লিতে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে মমতা বলেন, আমি শুনেছি, স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যাপারে একতরফা কথা হয়েছে। কিন্তু এভাবে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে পাশ কাটিয়ে একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
 
ছিটমহল বিনিময়ে সম্মতি দিলেও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে কিন্তু আগের মতই অনড় রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, তিস্তার পানির সাথে রাজ্যের স্বার্থ জড়িত। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র গোপনে ফারাক্কার পানি ছেড়েছে। এতে তিস্তার পানি বেড়েছে। কিন্তু তিস্তার পানি বণ্টনে রাজ্য কোনোভাবে সায় দেবে না।
 
মমতা জানান, বাংলাদেশের সাথে তাঁর এবং রাজ্য সরকারের সম্পর্ক কোনোদিনই খারাপ  না। সম্পর্ক তো খারাপ করেছে গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া। মানে আগের সরকারের আমলে খারাপ হয়ে গিয়েছিল এটা। এই সরকার কি করছে না করছে জানি না।
 
মমতা আপত্তি জানানোয় এত দিন হতাশ ছিলেন ছিটমহল এলাকার বাসিন্দারা। তারা এ নিয়ে আন্দোলন করে লাগাতার চাপ সৃষ্টি করেছেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের  ওপর।  ছিটমহল নিয়ে মমতার মনোভাবকে স্বাগত জানিয়েছে ছিটমহল বিনিময়ের দাবিতে আন্দোলনরত ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় দাবি সমন্বয় সমিতি।
 
তবে মমতা এভাবে আপত্তি তুলে নিতে রাজি হলেও বেঁকে বসেছেন আসামের বিজেপি  নেতারা। আসামের প্রচুর জমি বাংলাদেশে চলে যাবে বলে ওই রাজ্যের বিজেপি নেতাদের দাবি। একসময় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদেরও অবশ্য আপত্তি ছিল এ বিষয়ে।  সাবেক ইউ পি এ সরকারের আমলে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী সুষমা স্বরাজ ও বিরোধিতা করেছিলেন এ নিয়ে।  বর্তমান কেন্দ্র সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে সুর নরম করায় এবার ছিটমহল বিনিময়ের সম্ভাবনা বেড়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।