জলবায়ু সম্মেলন: অস্ট্রেলিয়ার অবস্থানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
জলবায়ুবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন ঘিরে অস্ট্রেলিয়ার ক্লাইমেট পলিসি ও অবস্থানের প্রতিবাদে সিডনি ও মেলবোর্নে বিক্ষোভ হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (৬ নভেম্বর) বিক্ষোভে অংশ নেন এক হাজারের বেশি মানুষ। খবর রয়টার্সের।
করোনা মহামারির মধ্যে লকডাউনে থাকার এক মাস পর এমন বিক্ষোভে অংশ নিলেন শহরটির বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, জলবায়ু সম্মেলন চলছে, আমরা এখানে হাজির হয়েছি এ কারণে যে আমরা আমাদের সরকারকে আরও বেশি সক্রিয় দেখতে চাই। ‘উই নিড হিউম্যান চেঞ্জ, নট ক্লাইমেট চেঞ্জ’ এমন স্লোগানও দেন তারা।
গ্লাসগোতে দুই সপ্তাহব্যাপী জলবায়ুবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম সপ্তাহে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনা, গ্রিন হাউস গ্যাসের ক্ষেত্রে মিথেন নির্গমন কমানো এবং বন বিনাশের ইতি টানতে নানা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
কয়লা এবং গ্যাসের বড় উৎপাদক অস্ট্রেলিয়া হলেও জলবায়ু সম্মেলনে সরকারের জোরালো কোনো পদক্ষেপ দেখছেন না দেশটির নাগরিকরা। বিশ্বের বহু দেশ ২০৫০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তবে অস্ট্রেলিয়া তা করতেও অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।
এর আগেও সম্মেলনে উপস্থিতির প্রতিশ্রুতি না দেওয়ায় জলবায়ু কর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। স্কট মরিসনের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রিন্স চার্লসও।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে শুরু হওয়া কপ২৬ সম্মেলনকে প্যারিস চুক্তি-পরবর্তী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু সম্মেলন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কপ২৬ চলবে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। নতুন করে কোনো চুক্তি না হলেও সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নেরই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ১২০টি দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা।
এসএনআর/টিটিএন/জেআইএম