যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ১৭ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী আটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৩ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২১

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত থেকে গত এক বছরে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এ সংখ্যা ১৭ লাখের বেশি হবে। সবাইকে মেক্সিকো সীমান্ত থেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ১৬০টির বেশি দেশের নাগরিক রয়েছেন। শনিবার (২৩ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের তথ্য অনুসারে, এসব অভিবাসীর মধ্যে ১০ লাখের বেশি লোককে মেক্সিকোতে অথবা নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এরই মধ্যে অভিবাসন নীতির ফলে জনমত জরিপে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জনপ্রিয়তায়ও ভাটা পড়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চ সমীক্ষায় মাত্র ৩৫ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন বাইডেন প্রশাসনের নীতিকে তারা সমর্থন করেন।

বাইডেন তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে আরও মানবিক অভিবাসন নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে ক্ষমতায় আসার নয় মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ব্যাপক অভিবাসী সংকট দেখা দেয়। যা নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে বাইডেন প্রশাসন।

২০২১ অর্থ বছরে সীমান্ত থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আটকের রেকর্ড হয়েছে। ২০০০ সালের পর এই প্রথম এতো অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটি।

কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন বলছে, করোনা মহামারির ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। যারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করছে তারা প্রধানত মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস এবং এল সালভাদর থেকে এসেছে।

এদিকে আটক হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল প্রাপ্তবয়স্করা। তাদের সঙ্গে কোনো শিশু ছিল না। এ সংখ্যা ১১ লাখের বেশি হবে। যা মোট আটক হওয়া অভিবাসীদের ৬৪ শতাংশ।

একই সময়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এক লাখ ৪৫ হাজারের বেশি শিশুকে পেয়েছে যাদের সঙ্গে কোনো অভিভাবক ছিল না। শক্রবার এসব শিশুদের মধ্যে প্রায় ১১ হাজারকে সরকারি হেফাজতে নেওয়া হয়।

এমএসএম/টিটিএন/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।