সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগ পর্যন্ত টেক্সাসের গর্ভপাতবিরোধী আইন বহাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২০ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০২১

অডিও শুনুন

গর্ভপাতের ওপর প্রায় সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার বিষয়টি দেখভাল করার জন্য টেক্সাসকে অনুমতি দেবে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। তবে আগামী মাসে একটি ব্যতিক্রমী দ্রুতগতির প্রক্রিয়ায় মামলাটি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কীভাবে আইনটি করা হয়েছে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে তা আইনি বাধার মুখে পড়তে পারে তারা সেগুলোতে গুরুত্ব দেবে। এটিকে সুপ্রিম কোর্টের ব্যতিক্রমী দ্রুতগতির মামলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। টেক্সাসের গর্ভপাতবিরোধী আইন নিয়ে নিম্ন আদালতও এখনো চূড়ান্ত রায় দেননি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, টেক্সাসের রিপাবলিকান দলের আইনপ্রণেতারা গর্ভপাত নিষিদ্ধের এই আইন উত্থাপন এবং তা পাস করেন। গর্ভপাতবিরোধী এই আইনে ছয় সপ্তাহের কাছাকাছি বয়সী সব ধরনের গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া ওই আইনে ধর্ষণ বা জবরদস্তির কারণে যেসব গর্ভধারণের ঘটনা ঘটে, সেসব গর্ভপাতের ক্ষেত্রেও কোনো ব্যতিক্রম রাখা হয়নি।

একে যুক্তরাষ্ট্রের গর্ভপাতবিষয়ক সবচেয়ে কঠোর আইন বলা হচ্ছিল। এরপর থেকে ওই আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন নারীরা।

আমেরিকানদের সাংবিধানিক অধিকারের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই আইনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানান। টেক্সাসে গর্ভপাতবিরোধী আইন স্থগিত করতে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করা হবে বলে জানায় বাইডেন প্রশাসন। দেশটির একটি আপিল আদালত বিতর্কিত আইনটি বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়ার পর বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।

তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৬ অক্টোবর গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকারের বিরুদ্ধে করা আইনের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেন নিম্ন আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের জেলা জজ রবার্ট পিটম্যান এই আদেশ দেন।

এর আগে বিতর্কিত আইনটির প্রয়োগ রোধ করার জন্য বিচারবিভাগকে অনুরোধ করে জো বাইডেনের প্রশাসন। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে আইনটি সাময়িকভাবে স্থগিত করেন আদালত। পরে আবারও বিতর্কিত সেই আইনটি বহাল রাখার কথা জানান দেশটির একটি আদালত।

ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।