হাতীবান্ধায় ছাত্রলীগ কর্মীর ছুরিকাঘাতে যুবলীগ নেতা আহত


প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫

ফেসবুক স্ট্যাটাসের জের ধরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ছাত্রলীগ কর্মী ও যুবলীগ সভাপতির মাঝে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে থানা পুলিশ ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগ গাজীকে আটক করে বুধবার দুপুরে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। আর যুবলীগ নেতা সেলিম হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস আপলোড করে গড্ডিমারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক নেতা। সেখানে তিনি হাতীবান্ধা আ.লীগের এক প্রভাবশালী নেতার নামে গড্ডিমারী এলাকায় একটি নব নির্মিত ব্রিজের নামকরণের প্রস্তাব রাখেন। কিছুক্ষণ পরেই ফেসবুকের ওই স্ট্যাটাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মতামত দেন সিন্দুর্ণা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম সেলিম। কিন্তু টংভাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী কেএম সোহাগ গাজি ব্রিজটি নেতার নামে রাখতে দ্বিমত পোষণ করে ওই স্ট্যাটাসের নিচে মতামত লিখে। এতে করে সেলিম ও সোহাগ গাজির মাঝে মুঠোফোনে গালমন্দের ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় এক আ.লীগ নেতার অস্থায়ী অফিসে দুজনের মধ্যে দেখা হলে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে দুজনই জখম হয় বলে জানা গেছে।

যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম সেলিম জানান, আমাকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে গিয়ে সোহাগ গাজী ছুরি মারে। এতে তিনি কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে যায় বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানায় যুবলীগ সভাপতি।

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মশিউর রহমান মামুন জানান, সোহাড় গাজী একজন ছাত্রলীগ কর্মী এ ঘটনায় দু‘পক্ষের মধ্যে মিমাংসার চেষ্টা চলছে।  

হাতীবান্ধা থানা পুলিশের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুছা আলী জানান, শহিদুল ইসলাম সেলিমে পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও জানান, ছাত্রলীগ কর্মীকে ১৫১ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

রবিউল হাসান/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।