বক্তব্য প্রত্যাহারে খালেদাকে লিগ্যাল নোটিশ
মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্য ৭ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী। বুধবার রেজিস্ট্রি ডাকে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয় ও গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের ঠিকানায় এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে বলেছেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছেন। খালেদা জিয়ার এ বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। এ জন্য তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। নইলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনে মামলা করা হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে উল্লেখ করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ কে খন্দকার তার বইয়ে সত্য কথা লিখেছে তা প্রত্যাহার না করায় তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করেনি। চাটুকারদের জন্য শেখ সাহেব মুক্তিযোদ্ধাদের কথা শুনতে পারেনি।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সম্পর্কে ভালোভাবে বিশ্লেষণ না করলে বোঝা যাবে না তারা কত নোংরা আর হিংস্র।’
মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার শঙ্কা প্রকাশ করার কারণে নতুন করে বিতর্ক যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি