রাজবাড়ীতে লড়াই হবে নৌকা-ধানের শীষে
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে রাজবাড়ীতে মেয়র পদে মূলত লড়াই হবে নৌকা-ধানের শীষে অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ, প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও সরকার বিরোধী আন্দোলনে ব্যার্থ বিএনপি এককভাবে তাদের দলের মেয়র প্রার্থী দিয়েছেন ।
নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। পুরো শহর জুরে এক আনন্দময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। সব স্থানে এখন একই আলোচনা।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী দীর্ঘ সময়ে রাজনীতির পরীক্ষিত সৈনিক। তাছাড়া তার সহধর্মী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সংরক্ষিত নারী আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী। এরই ধারাবাহিকতায় নৌকা প্রতীক নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন তারা। সাবেক এই মেয়রের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে পৌর এলাকায়। তিনি ভোটের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চান সবাইকে পৌর এলাকার জনগণ তাকে কত ভালোবাসে।
সাবেক পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, তিনি বিগত সাড়ে ৬ বছর রাজবাড়ী পৌরসভায় মেয়র ছিলেন এবং জনগণের জন্য কাজ করেছেন। তিনি নিশ্চিত যে জনগণের ভালোবাসায় এ নির্বাচনে জয়ী হবেন। বিজয়ী হয়ে রাস্তা, ড্রেন, বিদ্যুৎসহ সব ধরনের কাজে তিনি অবদান রাখবেন। এছাড়া পৌরসভাকে মাদকমুক্ত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অপরদিকে দীর্ঘ সময় জাতীয়পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মো. শুকুর চৌধুরী। বেশ কয়েকবার তিনি পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। তবে জয়ের মুখ দেখেনি এখন পর্যন্ত।
অন্যদিকে নবীন প্রার্থী পৌর ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য অর্নব নেওয়াজ মাহমুদ হৃষিত। রাজনীতিতে একেবারেই নতুন মুখ। তবে তার বাবা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম তিন তিনবারের পৌর মেয়র ছিলেন। তাই অনেকে মনে করেন, হৃষিত এর ব্যক্তিগত কোনো অবদান না থাকলেও বাবার অবদানে ভোটারদের মধ্যে সারা ফেলেছে এবং ভোটারদের কাছে তিনি তার বাবার অবদানকে পুঁজি করে ভোট প্রার্থনা করছেন। একই সঙ্গে আগামী প্রজন্মের জন্য শিক্ষা ও ইন্টারনেট নিয়ে কাজ করার কথাও বলছেন তিনি।
পৌর ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য অর্নব নেওয়াজ মাহমুদ হৃষিত বলেন, জনগণ স্বতঃর্স্ফূতভাবে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশগ্রহণ করছে। কোনো ভয় নেই কোনো ডর নেই ধানের শীষ সামনে নিয়ে তারা এগিয়ে চলছে। সামনে যত এগিয়ে যাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মাধ্যম দিয়ে রাজবাড়ীতে মানুষের ঢল দিন দিন বাড়তে থাকবে। তার বাবা তিনবার পৌর চেয়ারম্যান ছিলেন আর তার হাত দিয়ে পৌরসভার প্রতিটি অঙ্গন তৈরি হয়েছে। তিনি সামনে থাকলে শুধু উন্নতি হবে। মানুষের কল্যাণে তিনি নিজেকে বিলিয়ে দেবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ী পৌরসভায় মোট ৩ জন মেয়র, ৩৫ জন কাউন্সিলর ও ১১ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। রাজবাড়ী পৌরসভায় ৩৮ হাজার ৮ শত ৫৯ জন ভোটার রয়েছে। যার মধ্যে পুরুষ ১৯ হাজার ১ শত ৬৬ জন ও নারী ১৯ হাজার ৬ শত ৯৩ জন।
রুবেলুর রহমান/এসএস/এমএস