লাইফ সাপোর্টে রোগীর চিকিৎসা প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা


প্রকাশিত: ০৬:১৪ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) জাগো নিউজে ‘লাইফ সাপোর্ট খুলে নিলেই আপনার বাবা মারা যাবে’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা দিয়েছে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল। আইসিইউতে ভর্তিকৃত রোগী মকবুল খানের চিকিৎসা সংক্রান্ত সংবাদকে বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন হাসপাতালটির চীফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ডা. নাজমুল হাসান।

তিনি জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুল খানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। আইসিইউ এর প্রয়োজন হওয়ায় ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এখানে আসার পর রোগীর শরীরে অক্সিজেন এর মাত্রা মারাত্মকভাবে হ্রাস পাওয়াতে এবং রোগী সংজ্ঞাহীন থাকায় তাকে কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র মেশিনে দেয়ার (লাইফ সাপোর্ট) প্রয়োজন হয়ে পড়ে। রোগীর আত্মীয়দের অনুমতিক্রমে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
 
তিনি নিউমোনিয়াজনিত সেপটিক শক্ ও রেসপিরেটরি ফেলইউর, কিডনীর জটিলতা এবং বেডসোর জনিত রোগে ভুগছিলেন। আইসিইউতে নিবিড় পরিচর্যাকালে রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে ন্যূনতম সময়ের জন্য আইসিইউ সাপোর্টে রাখার জন্য মতামত ব্যক্ত করা হয়। সেই মোতাবেক রোগীকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। কিন্তু রোগীর নিকট আত্মীয়স্বজনের ইচ্ছানুযায়ী ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও নিজ দায়িত্বে তারা রোগী নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন দায়-দায়িত্ব থাকে না। উল্লেখ্য যে এই রোগীকে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ সব বিলের উপর থেকে ডিসকাউন্টও দেয়। এই রোগীর চিকিৎসা ও বিল সংক্রান্ত বিষয়ে রোগীর আত্মীয়স্বজনদের তখন কোন অভিযোগ ছিল না। প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে তাদের অভিযোগ দেখে আমরা বিস্মিত। কেন রোগীর আত্মীয়স্বজন এমন অবান্তর অভিযোগ করলো তা আমাদের বোধগম্য নয়।

প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোন বক্তব্য নেই। ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এমইউ/এআরএস/এএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।