প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধতে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা
মধ্যবয়স্ক স্বামীর সঙ্গে খুব একটা বনিবনা হতো না মুসলিমা বিবির। ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকতো দুজনের মধ্যে। এরই সুযোগে সম্পর্কের মধ্যে ঢুকে পড়ে পরকীয়া প্রেমিক। বয়স প্রেমিকার চেয়ে ১১ বছর কম। তাতে কী, ঘর বাঁধার স্বপ্নে দুজন এতটাই বিভোর হয়ে উঠেছিলেন যে, তার জন্য প্রাণ দিতে হলো বেচারা স্বামীকে। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছেন অভিযুক্ত স্ত্রী।
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এলাকায়। পুলিশি জেরার মুখে অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন স্ত্রী। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত প্রেমিক।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, গত ১৩ অক্টোবর রাতে স্বামী আনসার আলী গাজীকে (৫৩) প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান, এরপর অবচেতন অবস্থায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন মুসলিমা। সঙ্গে ছিলেন সেই পরকীয়া প্রেমিক।
মুসলিমা বিবি পুলিশকে জানান, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না তার। সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। এ অবস্থায় একই এলাকার ৩২ বছরের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। ১১ বছরের ছোট প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে সংসার পাতার স্বপ্ন দেখছিলেন মুসলিমা বিবি। তাই ‘পথের কাঁটা’ স্বামীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার ছক কষেন তারা।
গত ১৩ অক্টোবর মহাঅষ্টমীর রাতে স্বামী, ছেলে ও পুত্রবধূর খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন মুসলিমা বিবি। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে বাড়িতে ঢোকেন তার প্রেমিক। এরপর দুজন মিলে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন আনসার আলীকে।
ঘটনার কিছু সময় পর ওষুধের ঘোর কাটে ছেলে ও পুত্রবধূর। বাবাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় তাদের। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা আনসারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, আনসার আলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর তদন্তে নেমে মৃতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। টানা জেরার মুখে একপর্যায়ে ভেঙে পড়েন মুসলিমা বিবি। অপরাধ স্বীকার করায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তবে প্রেমিক এখনো পলাতক। তার খোঁজে জোর তল্লাশি চলছে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
কেএএ/এএসএম