টেক্সাসে গর্ভপাতবিরোধী আইন: সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইবে সরকার
টেক্সাসে গর্ভপাতবিরোধী আইন স্থগিত করতে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করা হবে বলে জানিয়েছে জো বাইডেনের প্রশাসন। দেশটির একটি আপিল আদালত বিতর্কিত আইনটি বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়ার পর বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
গত মাসে আইনটি স্থগিতের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে প্রক্রিয়াগত জটিলতার কথা উল্লেখ করেছিলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৬ অক্টোবর গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকারের বিরুদ্ধে করা আইনের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেন নিম্ন আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের জেলা জজ রবার্ট পিটম্যান এই আদেশ দেন। এর আগে বিতর্কিত আইনটির প্রয়োগ রোধ করার জন্য বিচারবিভাগকে অনুরোধ করে জো বাইডেনের প্রশাসন। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে আইনটি সাময়িকভাবে স্থগিত করেন আদালত।
তবে গত বৃহস্পতিবার আবারও বিতর্কিত সেই আইনটি বহাল রাখার কথা জানান আদালত।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, টেক্সাসের রিপাবলিকান দলের আইনপ্রণেতারা গর্ভপাত নিষিদ্ধের এই আইন উত্থাপন এবং তা পাস করেন। গর্ভপাতবিরোধী এই আইনে ছয় সপ্তাহের কাছাকাছি বয়সী সব ধরনের গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া ওই আইনে ধর্ষণ বা জবরদস্তির কারণে যেসব গর্ভধারণের ঘটনা ঘটে, সেসব গর্ভপাতের ক্ষেত্রেও কোনো ব্যতিক্রম রাখা হয়নি।
একে যুক্তরাষ্ট্রের গর্ভপাতবিষয়ক সবচেয়ে কঠোর আইন বলা হচ্ছিল। এরপর থেকে ওই আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন নারীরা।
আমেরিকানদের সাংবিধানিক অধিকারের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই আইনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানান।
১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের ‘রো বনাম ওয়েড’ নামের ঐতিহাসিক রায়ে মার্কিন নারীদের গর্ভপাতে বৈধতা দেওয়া হয়েছিল। ওই রায়ে মূলত গর্ভপাতের বয়সের কথা বলা হয়েছিল ২২ থেকে ২৪ সপ্তাহ।
রো বনাম ওয়েড আইনের প্রসঙ্গ তুলে টেক্সাসের গর্ভপাতবিরোধী নতুন আইনের সমালোচনা করেন আন্দোলনকারীরা। নতুন আইনকে ১৯৭৩ সালের ‘রো বনাম ওয়েড’ আইনের লঙ্ঘন বলে দাবি করেন তারা। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত আইনটি বহালে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদালত।
ইএ/জিকেএস