লিবিয়ায় এক সপ্তাহে ৫ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৬ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০২১

লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের বন্দিশালায় বিপুল সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী আটকে থাকার প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এসময় পাঁচ হাজারেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের অনেকে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশী।

মানবপাচারকারীদের হাতে কিছু বন্দি গুরুতর শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে অভিযোগ ওঠার মধ্যে এ অভিযানে নামে স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

খবরে বলা হয়, সম্প্রতি গ্রেফতারদের মধ্যে অনেকেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সমর্থিত সরকারের কোস্টগার্ডের হাতে আটক হয়। পরে তাদের অভিবাসী বন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের অমানবিক পরিবেশে রাখা হয়েছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ তুললে অনেককে মুক্তি দিয়ে দেওয়া হয়।

লিবিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্রেফতাররা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের, যাদের অনেকেই যুদ্ধ এবং নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে এসেছে। অবৈধ অভিবাসন ও মাদকপাচার চক্রের সঙ্গে এদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।

চিকিৎসা সহায়তাদানকারী দাতব্য প্রতিষ্ঠান এমএসএফ এক বিবৃতিতে জানায়, গত সোমবার (৪ অক্টোবর) থেকে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির বন্দি কেন্দ্রে মানুষের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি হয়ে গেছে। একটি বন্দিকেন্দ্রে ৫৫০ জনের বেশি নারী রাখা হয়েছে। একই সেলের মধ্যে গর্ভবতী নারী, শিশু এমনকি নবজাতক শিশুকেও রাখা হয়েছে। সেখানে শতাধিক বন্দিকে ব্যবহার করতে হচ্ছে একটি টয়লেট।’

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন এবং অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে যাত্রা ঠেকাতে লিবিয়া এবং মরক্কোসহ উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০১৭ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ৮১ হাজারের বেশি অভিবাসীকে সমুদ্র থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় লিবিয়ার কোস্টগার্ড। তারা এ কাজের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম পেয়ে থাকে।

এমএসএম/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।