মোজাম্বিকে টুনা মাছের দুর্নীতি মামলা বিচারিক আদালতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৫ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০২১

টুনা মাছ কেলেঙ্কারি মোজাম্বিকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্নীতির মামলা। সেই মামলার বিচার কাজ চলছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত কারাগারে। একই সঙ্গে দেশটির বিচার ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে অভিযোগ ওঠা মামলা বিচারাধীন প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায়।

ওই মামলায় মোজাম্বিকের সাবেক প্রেসিডেন্ট আরমান্দো গুয়েবুজার ছেলে নদাম্বি গুয়েবুজাসহ আরও ১৮ জন অভিযুক্ত হয়েছেন।

দেশটির সরকার টুনা মাছের শিল্পখাতের জন্য দুই দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ২৭০ কোটি ডলার ঋণের দায়ভার নেয় শুধু ট্রলার এবং সামিরক টহলের কাজে ব্যবহারের নৌকা কিনতে, যেখানে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী ম্যানুয়েল চ্যাং প্রায় আট বছর আগে ওই দুর্নীতির ঋণে স্বাক্ষর করেছিলেন। তিনি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে আটকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কারাগারে আছেন। তাকে দেশে ফেরত নেওয়ার পক্ষে কথা বলেন দেশটির আদালতও।

jagonews24

৬৬ বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক ৭ মিলিয়ন ডলার ঘুস নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে আটক হন।

২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মোজাম্বিকের তিনটি নতুন কোম্পানি মোটা অঙ্কের ঋণ নেয়। কিন্তু এ বিষয়ে দেশটির পার্লামেন্টের কোনো অনুমোদন ছিল না। পরে পর্যবেক্ষণ টিম দেখতে পায় বহু টাকার হদিস নেই।

এই ঋণের গ্যারান্টর ছিল মোজাম্বিক সরকার। যদি ঋণ গ্রহীতা ওই অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাহলে তা পরিশোধ করতে হবে রাষ্ট্রকে। ২০১৬ সালে ঋণের সঙ্গে কিছু বন্ড অদলবদল করে সরকার। এসব বন্ড ইস্যু করে রাষ্ট্র। এর পরপরই স্বীকার করে নেওয়া হয় ওই বিশাল পরিমাণ ঋণের কথা। এতে মোজাম্বিকে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়।

সূত্র: বিবিসি

এসএনআর/টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।