রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখলেন মমতা
অতিবৃষ্টিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার অবস্থা ভয়াবহ। পানিতে ভাসছে চারদিক। এ অবস্থায় আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী শনিবার (২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালীঘাটের বাসভবন থেকে বের হন মমতা। সড়কপথে সোজা ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে পৌঁছান তিনি। দুপুর ১২টায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে হেলিকপ্টারে চড়ে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার উদ্দেশে রওয়ানা হন। পরে বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান হয়ে হুগলির বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। তারপর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সচিবালয় নবান্নে ফিরে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ত্রাণ বণ্টনের জন্য তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেন।
এদিকে, এই প্লাবনের জন্য শুক্রবার দামোদর ভ্যালি করপোরেশনকেই (ডিভিসি) দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, এটা ম্যান মেড বন্যা। ঝাড়খণ্ডের জন্য আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ডিভিসির সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে। কোনো লাভ হয়নি। মাঝরাতে জল ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না। আমাদের সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে।
অন্যদিকে, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কংগ্রেস ও বিজেপি বন্যা পরিস্থিতি তৈরির জন্য একযোগে রাজ্য সরকারকে দুষছে। বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করছে। তার দাবি, বাঁধ মেরামত না করার ফলেই দুর্ভোগ।
এদিকে, শনিবার সকাল পর্যন্ত রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। ডিভিসি থেকে পানি ছাড়ার পরিমাণ কমানো হয়েছে। শনিবার সকালে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪০০ কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছিল। বেলা বাড়ার পর তা আরও কিছুটা কমিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪০০ কিউসেক করা হয়।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মহালয়া পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরের জেলাগুলোতে পূজার শুরুতে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
এমআরআর/এএসএম