ভ্যাকসিন না নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের বরখাস্ত করছে নিউইয়র্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

যেসব স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন নেননি তাদের বরখাস্ত করা শুরু করেছে নিউইয়র্কের হাসপাতালগুলো। ওই অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল স্টাফদের ভ্যাকসিন নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা ভ্যাকসিন নেননি তারা প্রশাসনের আদেশ অমান্য করেছেন এমন অভিযোগে তাদের চাকরিচ্যুত বা বরখাস্ত করা হচ্ছে। সোমবার থেকেই বিভিন্ন হাসপাতাল এমন পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে।

কিন্তু এভাবে মেডিকেল স্টাফদের ছাটাই করা শুরু হওয়ায় অনেক হাসপাতালে সংকট তৈরি হয়েছে। বেশ কিছু হাসপাতালে সার্জারি স্থগিত রাখতে হচ্ছে এবং বিভিন্ন সেবা ব্যহত হচ্ছে। এদিকে নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডে ব্লাসিও এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভ্যাকসিন গ্রহণের আদেশের কারণে তার শহরের হাসপাতালগুলোতে তেমন বড় কোনো প্রভাব পড়ছে না। তবে যেসব এলাকায় ভ্যাকসিনের হার কম সেসব এলাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

ওয়েস্টার্ন নিউইয়র্কের অন্যতম বড় হেলথ কেয়ার ক্যাথলিক হেলথের এক মুখপাত্র বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়া কর্মী এবং সদস্যদের ছাড় দেওয়া হয়েছে এবং যাদের বেতন ছাড়াই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের হিসাব রাখা হচ্ছে।

তবে চিকিৎসা বা ধর্মীয় কারণে কতজন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে বা চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন জোয়ান কাভানাভ নামের এক মুখপাত্র। ক্যাথলিক হেলথ জানিয়েছে, তাদের কিছু সংখ্যক সার্জারি বন্ধ রাখতে হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অন্যান্য অঙ্গরাজ্য ও ফেডারেল রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। ফলে যারা এখনও ভ্যাকসিন নেননি তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

গত মাসে নিউইয়র্কের স্বাস্থ্য দপ্তর একটি নির্দেশনা জারি করে। এতে বলা হয় আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেখানকার সব স্বাস্থ্যকর্মীকে অবশ্যই ভ্যাকসিনের কমপক্ষে একটি ডোজ নিতে হবে।

এনওয়াইসি হেলথের ডা. মিচেল কাতজ বলেন, নিউইয়র্কের ১১টি গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের ৪৩ হাজার কর্মীর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার কর্মী এখনও ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি। তিনি জানিয়েছেন, ৯৫ শতাংশ নার্স ভ্যাকসিন নিয়েছেন।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।