জাস্টিন ট্রুডোর রাজনৈতিক জীবন
টানা তৃতীয়বারের মতো কানাডার ক্ষমতায় বসছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেওয়া ট্রুডোর বয়স এখন ৪৯ বছর। বেশ কিছু বিষয়ে সামান্য জনপ্রিয়তা কমে গেলেও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব আবারও এই তরুণ রাজনীতিকের হাতেই তুলে দিয়েছেন দেশের মানুষ। অর্থাৎ কানাডায় এখনও সবার ভরসার জায়গা ট্রুডোই।
২০১৫ সালে তার নেতৃত্বে ১৮৪ আসনের মধ্যে ৩৬টিতে জয় পেয়ে কানাডার ইতিহাসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করেছিল লিবারেল পার্টি। সেসময় দেশের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ট্রুডো। জো ক্লার্কের পর তিনি কানাডার দ্বিতীয় কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার পিতা পিয়ের ট্রুডো কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
অটোয়াতে জন্ম নেওয়া ট্রুডো তরুণ বয়স থেকেই লিবারেল পার্টির সমর্থক ছিলেন। তার বাবার মৃত্যুর পর রাজনীতিতে তিনি আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠেন। অল্প বয়সে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় তার যোগ্যতা নিয়ে সব সময়ই সমালোচকদের প্রশ্ন ছিল।
তবে ২০১৫ সালে ক্ষমতা পাওয়ার পর নানামূখী উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রুডো। মধ্যবিত্তদের জন্য রাজস্বের হার কমানো এবং ধনীদের ক্ষেত্রে কর বাড়ানোর কথা বলেছিলেন তিনি। স্বচ্ছ ও নীতিবান সরকার গঠনের ঘোষণাও দেন এই তরুণ নেতা।
এবার করোনা মহামারির মধ্যে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন ট্রুডো। সোমবার অনুষ্ঠিত ৪৪তম সাধারণ নির্বাচনে তুমুল লড়াই হয়েছে। বর্তমান সরকারে ট্রুডোর সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করতে হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেটি বদলাতেই হয়তো আগাম নির্বাচন দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অভিযোগ আছে যে গত ছয় বছরে তার সরকারের কাজকর্মে কিছুটা নিষ্ক্রিয় ভাব লক্ষ্য করা গেছে। এ কারণে লিবারেল পার্টির ওপর ভোটারদের আস্থা, এমনকি তার জনপ্রিয়তাও অনেকেটা কমে গেছে। ব্যক্তিজীবনে বন্ধুসলভ জাস্টিন ট্রুডো ২০০৫ সালে সোফি গ্রেগরের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এই দম্পতির ঘরে তিন সন্তান রয়েছে।
এসএনআর/টিটিএন/এমএস