কুরআনে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিচয়
আল্লাহ তাআলা যুগ যুগ ধরে বান্দাদের কাছ থেকে নবি-রাসুলগণের মাধ্যমে তাঁর বিধানকে মেনে চলার জন্য অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন। নবি-রাসুলসহ তাদের দ্বীন এবং শরিয়াতকে বিশ্বাস করার এবং বাস্তব জীবনে মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি ও চুক্তির কথাগুলো জানিয়েছেন, তা স্মরণ করে দিতে আল্লাহ তাআলা কুরআনে বার বার তা উল্লেখ করেন। যারা এ অঙ্গীকার পালনে ব্যর্থ তাদের অবস্থা তুলে ধরে আল্লাহ বলেন-
(বিপথগামী ওরাই) যারা আল্লাহর সঙ্গে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে এবং আল্লাহ পাক যা অবিচ্ছিন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন, তা ছিন্ন করে, আর পৃথিবীর বুকে অশান্তি সৃষ্টি করে। ওরা যথার্থই ক্ষতিগ্রস্ত। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২৭)
অঙ্গীকার গ্রহণে মুফাসসিরিনগণের মতামত-
ক. সুষ্টিকুলের প্রতি সে সব আদেশ-নিষেধ যা তিনি আম্বিয়া কেরামগণ থেকে গ্রহণ করেছিলেন।
খ. শেষ নবির আগমনের পর তাঁর সত্যায়ন এবং ঈমান আনতে তাওরাতের অঙ্গীকার।
গ. সকল বনি আদমকে হজরত আদম আলাইহিস সালামের পৃষ্টদেশ থেকে বের করে ‘আলাসতু বিরাব্বিকুম’-এর অঙ্গীকারের কথা। (ইবনে কাসীর)
ঘ. মানুষের ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ তথা রাষ্টের সাথে সম্পর্কিত- আত্মীয়তার সঙ্গে সদ্ব্যবহার, ক্রয়-বিক্রয়, ভাড়া, ঋণসহ দুনিয়ার জীবন-যাপনে যাবতীয় বৈধ অঙ্গীকারও অন্তর্ভূক্ত।
পরিশেষে...
উপরোক্ত অঙ্গীকার পালনে যারা ন্যায়পরায়ন ও সত্যানুসন্ধানী হবে তারাই নাজাত পাবে। আর যারা আল্লাহর বিধান মানার ব্যাপারে বক্রতা অবলম্বন করবে, একরোখা, হিংসুটে এবং দুষ্টামির ছলে তার নির্দেশকে ছিন্ন করে অশান্তি সৃষ্টি করবে তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
সুতরাং আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে আল্লাহর বিধানের অবাধ্য হয়ে অশান্তি সৃষ্টি না করে দ্বীনের পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর