প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র


প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। শুক্রবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমানে প্রতিবছর বাংলাদেশ হতে প্রায় ৫ লাখ কর্মী মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের ১৬০টি দেশে কর্মী হিসেবে কাজ করতে যায় বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন, আগামী দিনে এই সংখ্যা আরো বাড়বে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মিশন প্রধান শরৎ চন্দ্র দাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইফতেখার হায়দার ও জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বেগম শামছুন নাহার প্রমুখ।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে ওমানে প্রবাসীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার ও বক্তব্য শুনেন এবং সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান।

তিনি প্রবাসীদের দাবি পূরণের কথা উল্লেখ করে আরো বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১৬০টি দেশে প্রায় ৯৬ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন এবং বিপুল পরিমাণ রেমিটেন্স দেশে প্রেরণ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন। পুরুষ কর্মীর পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক নারী কর্মীও বিদেশে গিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা ও দুর্ভোগ লাঘবে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ২৮ মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ১৬০টি দেশে বাংলাদেশিদের সুযোগ-সুবিধা দেখাশোনার কাজ করে যাচ্ছে।

সভপতির বক্তব্যে নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, ‘বিশ্বময় অভিবাসন, সমৃদ্ধ দেশ, উৎসবের জীবন’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথভাবে পালন করছে। বর্তমান বিশ্বের ১৬০টি দেশে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি কর্মী কর্মরত আছেন।

দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় করার প্রত্যয়ে অভিবাসী কর্মীরা যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, সে অনবদ্য অবদানকে মূল্যায়ন করাই এ দিবসের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করেছি এবং বাংলাদেশ থেকে আর কোন কর্মী অবৈধভাবে বিদেশ গমন করতে পারবে না।

পরে মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিবাসী কর্মীদের সন্তানদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তির চেক হস্তান্তর করেন।
এর আগে সকাল আটটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ উপলক্ষে একটি অভিবাসী মেলা বসেছে। এতে অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে কাজ করে এমন সরকারি-বেসরকারি ৫৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করে। মেলা উদ্বোধন শেষে মন্ত্রীরা মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী র্যালি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেমিনার, বিশেষ সুভ্যেনির প্রকাশ, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, অভিবাসন মেলা, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ইত্যাদি অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসনের মাধমে দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় এবং বিদেশে অবস্থিত দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের অংশগ্রহণে এ দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।