শাবির প্রথম ছাত্রী হলের ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠিত


প্রকাশিত: ০৪:১৪ এএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হলের (মাস্টার্স) ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীদের ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট নগরীর স্পাইসি রেস্টুরেন্টে বিদায়ী ছাত্রীদের ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে বিদায় জানানো হয়।

রাত সাড়ে আটটার দিকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভূইয়া।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, সাস্ট কখনো কাউকে বিদায় দেয় না, দেবেও না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমরা অধ্যায়ন করেছ। তাই আমরা তোমাদের একটা সার্টিফিকেট দেব।

আমি তোমাদের বিদায় জানাচ্ছি না। তোমরা এই ক্যাম্পাসে ছিলে, আগামী দিনগুলোতেও থাকবে। কর্মজীবনে প্রবেশ করলেও তোমরা ক্যাম্পাসে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের সব সময় সাদরে গ্রহণ করবে।

বর্তমান হল প্রাধ্যক্ষসহ ইতোপূর্বে যারা হল প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের সুদক্ষ নেতৃত্বে এই হল আজ ধন্য। যেসব কার্যক্রম হাতে নিলে আবাসিক ছাত্রীদের যাতে সুবিধা হয় আমি হল প্রাধ্যক্ষকে অনুরোধ করছি সেসব উদ্যোগ নিতে। আমি তা কার্যকর করতে ব্যবস্থা নেব।

প্রথম ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ আধ্যাপক আমিনা পারভিনের সভাপতিত্বে ও সহকারী প্রাধ্যক্ষ তাহমিনা ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক রেজাই করিম খন্দকার, অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম।     

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শরদিন্দু ভট্টাচার্য, বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ শরিফা ইয়াসমিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, প্রথম ছাত্রী হল ও বেগম সিরাজুন্নেসা হলের সহকারী প্রাধ্যক্ষবৃন্দ প্রমুখ।

বিদায়ী ছাত্রীদের মধ্যে সমাজকর্ম বিভাগের জিনিয়া তাসনিম রেখা, ইংরেজি বিভাগের প্রিয়াংকা ও নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সেতু বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে গ্র্যান্ড ডিনার শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিদায়ী ছাত্রীদের ফেয়ারওয়েল শেষ হয়।

আব্দুল্লাহ আল মনসুর/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।