কোথা থেকে অর্থ পায় আইএস


প্রকাশিত: ০৪:০৮ এএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫

জঙ্গি সংগঠন আইএসকে (ইসলামিক স্টেট) পৃথিবীর সবচেয়ে সম্পদশালী সংগঠনগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সম্প্রতি এক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, আইএস-এর মাসিক আয় ৮০মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিবছর তেল বিক্রি করে আইএস ৫০০ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলা শুক্রবার সকালে এ তথ্য জানায়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএস প্রতিদিন তেল বিক্রি করে ১৫লাখ ডলার আয় করছে। ইরাক এবং সিরিয়ার অনেক বড় তেল ক্ষেত্রে এখন আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। এই তেল ক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ৪০ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়। কিন্তু এই তেল কারা কিনছে?

মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর হাতে যাতে কোনভাবেই অর্থ না যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করেতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ১৫টি দেশের অর্থমন্ত্রীরা এক প্রস্তাব গ্রহণ করেন। ১৯৯৯ সালে আল-কায়েদার অর্থের উৎস বন্ধ করতে যে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল তার ভিত্তিতেই আইএস-এর বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।

কোনো উপায়ে যাতে আইএস অর্থ সংগ্রহ করতে না পারে সেজন্য পৃথিবীর সব দেশকে আরো সুনির্দিষ্ট এবং জোরালোভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আইএস-এর অর্থের উৎস কী?

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আইএসের তাদের অর্থ আসে দু’ভাবে। প্রথমত তেল বিক্রি এবং দ্বিতীয়ত লুটকরা পুরাকীর্তি বিক্রি করে। তবে অভিযোগ রয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ দালালদের সহযোগিতায় আইএস’র কাছ থেকে তেল কিনছেন।

এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন আইএস’র কাছ থেকে তুরস্ক তেল কিনে । আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ তেল তুরস্কে যায় বলে তার কাছে তথ্য রয়েছে।

তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান পুতিনকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আইএস-এর কাছ থেকে তুরস্কের তেল কেনার বিষয়টি যদি রাশিয়া প্রমাণ করতে পারে তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন। আর যদি প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে কি পুতিন তার পদে থাকবেন?

আইএস যাতে কোনভাবেই অর্থ সংগ্রহ করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের সবগুলো দেশের অর্থমন্ত্রীরা আহ্বান জানান।

এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।