বাংলাদেশে টিকা পাঠানোর নিশ্চয়তা দিয়েছে ভারত: তথ্যমন্ত্রী
ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আরও উন্নতি হওয়ার পর বাংলাদেশে টিকা পাঠানো হবে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশটি। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) নয়া দিল্লি থেকে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ভারতে করোনা টিকার চাহিদা সম্পর্কে বাংলাদেশ অবগত। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
এদিন নয়া দিল্লিতে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। এসময় করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশ থেকে মাত্র দুই শতাংশে নামিয়ে আনা ‘বিশাল অর্জন’।
হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতীয় সরকার নিশ্চয়তা দিয়েছে, তারা আমাদের চুক্তিতে থাকা টিকা সরবরাহ করবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মুখে গত বছর ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কোভিশিল্ড টিকার তিন কোটি ডোজ পেতে চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ করে টিকা দেওয়ার কথা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু বছরের প্রথম দুই মাসে চুক্তির মাত্র ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাঠায় ভারত। এর বাইরে ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির আওতায় বাংলাদেশকে আরও ৩২ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয় দেশটি। কিন্তু মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ব্যাপক সংক্রমণের মুখে গত এপ্রিলে বিদেশে টিকা রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। ফলে বিপাকে পড়ে টিকার জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করে থাকা দেশগুলো।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে কয়েক মাস আগে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। এ কারণেই আমরা আর টিকার চালান পাইনি।
অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ায় ভারত টিকা পাঠাতে বিলম্ব হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরপরও আমি ভারতীয় সরকার ও সিরামকে ধন্যবাদ জানাবো। ভারত আমাদের কিছু টিকা উপহারও দিয়েছে।
গত মার্চে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের পর বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে ড. হাছান মাহমুদই প্রথম ভারত সফরে গেছেন। সেখানে ভারতীয় তথ্যমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তার।
কেএএ/জিকেএস