বছর শেষে ১০০ কোটির বেশি টিকা মজুত থাকছে ধনীদের কাছে
ধনী দেশগুলোর কাছে এ বছরের শেষে একশ কোটির বেশি টিকা মজুত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। গরিব দেশগুলোকে এ টিকা কীভাবে দেওয়া হবে সে ব্যাপারে এখনো কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। নতুন এক বিশ্লেষণে এমন তথ্য জানা গেছে। খবর আল-জাজিরা।
পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে চলতি মাস পর্যন্ত টিকা মজুদের পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটিতে পৌঁছেছে। যার মধ্যে ৩৬ কোটি টিকার অনুদানের জন্য এখনো নির্দিষ্ট করা হয়নি। তথ্য বিশ্লেষণ সংস্থা এয়ারফিনিটির নতুন গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কানাডা এবং জাপানে টিকা সরবরাহের সার্বিক চিত্র বিশ্লেষণ করে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে ৭ সেপ্টেম্বর।
ভ্যাকসিনের এমন বৈষম্য নিয়ে এরই মধ্যে অনেক বিশিষ্ট স্বাস্থ্য ব্যক্তিত্ব এবং কর্মকর্তারা নিন্দা জানিয়েছেন। জাতিসংঘ কোভ্যাক্সের আওতায় দরিদ্র দেশগুলোতে অন্তত ২০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা নিশ্চিত করার জন্য ২০০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ধনী দেশগুলো টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি করে সে পথ সংকুচিত করে টিকা মজুতকে সম্প্রসারণ করেছে।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক, টেড্রোস অ্যাধনম গেব্রেইয়েসাস, জি-২০ দেশগুলোর স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের নিয়ে এক সভায় বলেছেন, বৈশ্বিক ভ্যাকসিনের বৈষম্য অগ্রহণযোগ্য। প্রযুক্তি এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ভাগাভাগি করে আঞ্চলিকভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তার আহ্বান জানিয়ে তিনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সব টিকা সময়মতো কোভ্যাক্সেকে দিতেও অনুরোধ করেন।
তিনি বলেছেন, ব্শ্বিব্যাপী যে ৫০০ কোটির বেশি টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে তার মধ্যে ৭৫ শতাংশই ১০টি দেশে পরিচালিত হয়েছে। আফ্রিকায় মাত্র ২ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন রোববার বলেছেন, দরিদ্র দেশগুলো যখন টিকা পেতে মরিয়া হয়ে উঠছে তখন ধনী দেশগুলো টিকা মজুদ করে নৈতিক ক্ষোভ তৈরি করছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা সরবরাহের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এমএসএম/জিকেএস