আফগানিস্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ‘বদরি ৩১৩’ বাহিনী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৮ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১
অডিও শুনুন
৩১ আগস্ট ২০২১ সালটি তাৎপর্যময় হয়ে রইল বিশ্বের ইতিহাসে। ২০ বছরের আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে এ দিনটিতে ঘরে ফিরেছেন মার্কিন সেনারা। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে পেরে পুরো আফগানিস্তানে তালেবানদের বিজয় উল্লাস। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বিমা সর্বত্র উড়ছে তালেবানের সাদা নিশান। ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখলে নেওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ে দেশটিতে। এবার সরকার গঠনের আগেই দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তালেবান গঠন করলো ‘বদরি ৩১৩’ নামের নিরাপত্তা বাহিনী। খবর আল জাজিরার।
মার্কিন সেনারা মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার পরপরই এ বাহিনী পুরো কাবুল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। কাবুল বিমানবন্দরে প্যরেডে অংশ নেয় বদরি ৩১৩ বাহিনীর কয়েকশ সদস্য। তালেবানের বেশ কয়েকজন নেতাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ ‘বদরি ৩১৩’ বাহিনীকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু নির্দেশনাও দেন। তবে সাধারণ মানুষ যেন আতঙ্কিত না হয় সে বিষয়টিও মাথায় রাখার কথা বলেন তিনি।
মঙ্গলবার দিনভর ‘বদরি ৩১৩’ বাহিনীর সদস্যদের সাদা পতাকা এবং অস্ত্র নিয়ে আধুনিক সাজপোশাকে কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
তালেবানের এ ‘বদরি ৩১৩’ বাহিনীতে যুদ্ধফেরত পাঁচ হাজার জনের মতো সদস্য নিয়োগ পেয়েছে। তারা মনে করেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের বড় দায়িত্ব ও কর্তব্য। জানা গেছে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বদর যুদ্ধের আদলে বাহিনীর নাম রাখা হয়েছে বদরি বাহিনী।
১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর হাজার হাজার মানুষ দেশত্যাগের জন্য হাজির হয় বিমানবন্দরে। বিশৃঙ্খলার মধ্যে কাবুল বিমানবন্দরে মারা যান ৩০ জনের মতো। পরে তালেবান ও ন্যাটোর পক্ষ থেকে জানানো হয় গুলিতে অথবা হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন তারা।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের জোটের বিমানে করে এ পর্যন্ত কাবুল ছেড়েছে এক লাখের বেশি মানুষ।
তালেবানের পক্ষ থেকে আবারও জানানো হয়েছে, আফগান মাটিতে বিদেশি কোনো সেনার অবস্থান তারা চায় না। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের এখন প্রধান কাজ।
যদিও নিরাপত্তা ইস্যুতে তুরস্ক ও কাতার তাদের সঙ্গে কাজ করবে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। তবে এধরনের চুক্তির এখনও খবর পাওয়া যায়নি।
এসএনআর/জেআইএম