যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় আইএস-কে’র সদস্য নিহত
অডিও শুনুন
আফগানিস্তানের কাবুলে বিমানবন্দরে বোমা হামলার পরিকল্পনাকারী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্যদের লক্ষ্য করে দেশটির পূর্বাঞ্চলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্য রয়েছেন ১৩ জন। কাবুলে আইএসের খোরাসান শাখার হামলার দায় স্বীকারের পর এমন হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ডের ক্যাপ্টেন বিল আরবান এক বিবৃতিতে হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের নাঙ্গারহার প্রদেশে এ ড্রোন হামলা চালানো হয় এবং এতে বিমানবন্দরে হামলার পরিকল্পনাকারীদের একজন নিহত হয়েছে।
এর আগে কাবুলে হামলার পরপরই আইএসের খোরাসান শাখা আইএস-কে হামলার দায় স্বীকার করে। যুক্তরাষ্ট্র জানায়, আবারও হামলার ইঙ্গিত পাওয়ার পর আইএস কে টার্গেট করে এ হামলা চালায় তারা। তবে কোন বেসামরিক লোক এতে নিহত হয়নি বলে দাবি তাদের।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট শুক্রবার কাবুলের বিমানবন্দরে হামলাকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, বৃহস্পতিবারের হামলার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে।
আফগানিস্তানের কাবুলে হামলা চালানো আইএস-কে সংগঠনটির পূর্ণ নাম ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান। জঙ্গী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর আঞ্চলিক সহযোগী শাখা হিসেবে কাজ করছে তারা। বর্তমান আফগানিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ে প্রাচীন আমলে যে অঞ্চল সেটিই খোরাসান নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে আইএস-কে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে।
কয়েক বছর ধরে সহিংস ঘটনার পেছনে এই গোষ্ঠীটি দায়ী বলে অভিযোগ পাওয়া যায় এর আগে। বিশেষ করে তারা স্কুলছাত্রীদের ওপর হামলা এমনকি হাসপাতালে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছিল। এখন তারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এটাও ধারণা করা হয় যে, আইএস-কে’র তালেবানের তৃতীয় পক্ষ হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে তালেবানের সঙ্গে তাদের বড় পার্থক্যও বিদ্যমান। তারা অভিযোগ করে গোপন চুক্তির অংশ হিসেবে আমেরিকানরা আফগানিস্তানকে তালেবানের হাতে তুলে দিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, আইএস এখন আফগানিস্তানের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে যেটি আগামী তালেবান সরকারের জন্যও অশনিসংকেত।
এসএনআর/এএসএম