আবারও উত্তপ্ত গাজা
গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। ফলে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গাজা। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবরোধ শিথিলের দাবিতে জড়ো হয় ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা। কয়েকদিন আগেও ওই অঞ্চলে একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে বিক্ষোভ থামাতে বাধ্য হয় ফিলিস্তিনিরা।
বিক্ষোভে নারী-পুরুষ এমনকি কিশোর এবং বৃদ্ধরাও অংশ নিয়েছেন। এদিকে ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিসরের সঙ্গে গাজার গুরুত্বপূর্ণ বর্ডার ক্রসিং বৃহস্পতিবার পুনরায় খুলে দেওয়া হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা বিক্ষোভ থামাতে টিয়ার গ্যাস এবং সীমিত আকারে গুলি ছুড়েছে।
অপরদিকে হামাসের কর্মকর্তা সোহেইল আল হেন্দি বলেন, রক্তপাত এড়িয়ে চলার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। গাজার ওপর ইসরায়েলের অবরোধ শিথিলে চাপ প্রয়োগের জন্যই মূলত বিক্ষোভে অংশ নেন ফিলিস্তিনিরা।
২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতে চলে যাওয়ার পর থেকেই ইসরায়েল এবং মিসর এই অবরোধ নিয়ন্ত্রণ করছে। এই অবরোধ গাজার অর্থনীতিতে ধস নামিয়েছে এবং বেকারত্বের হার বেড়ে ৫০ শতাংশের উপরে উঠেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ফিলিস্তিনি এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। পশ্চিম তীরে নাবলাসের কাছে একটি শরণার্থী ক্যাম্পে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোর নিহত হয়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, মঙ্গলবার ইমাদ খালেদ সালেহ হাশাশ নামের ওই কিশোর নিহত হয়েছে। বালাতা শরণার্থী শিবিরে থাকা ওই কিশোরের মাথায় গুলি লেগেছিল।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা ওই শরণার্থী শিবিরে এক সন্দেহভাজনকে আটক করতে রাতভর অভিযান চালিয়েছে। তাদের দাবি, অভিযানের সময় বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে তাদের লক্ষ্য করে গোলাবারুদ নিক্ষেপ করা হয়। এর জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়।
টিটিএন/এমএস