আফগানিস্তানে মিশন সফল হয়েছে: বরিস জনসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২১
ফাইল ছবি

 

একে একে প্রায় সব দেশই নিজেদের নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। গত রোববার (১৫ আগস্ট) তালেবান রাজধানী কাবুল দখলের পর আফগানিস্তানের পুরো নিয়ন্ত্রণই তালেবানের হাতে চলে যায়। তারপর থেকে বিভিন্ন দূতাবাস থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়।

এদিকে আফগান সংকট নিয়ে জরুরি বিতর্ক শুরু হয়েছে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে। ২০ হাজার আফগান শরণার্থী গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে এর মধ্যেই ব্রিটিশ সরকার সমালোচনার মুখে পড়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম পাঁচ হাজার শরণার্থী এই বছরের শেষ নাগাদ এসে পৌঁছাবে। পরবর্তী পাঁচ বছর ধরে বাকিদের ব্যবস্থা করা হবে। সাবেক কনজারভেটিভ মন্ত্রী ডেভিডসহ সমালোচকরা বলছেন, যতজনের দায়িত্ব নেয়া উচিত এই সংখ্যা তার কাছে কিছুই না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বিবিসিকে বলেন, পুরো কর্মসূচী শুরু এবং চালাতে আরও কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। কনজারভেটিভ মন্ত্রী টোবিয়াস এলউড জনসনের কাছে প্রশ্ন করেন যে, এখন সেই একই বাহিনীর কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার সঙ্গে তিনি একমত কীনা? ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এর জবাবে বলেন, আমাদের অভিযানে আমরা সফল হয়েছি এবং আফগানিস্তানের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে কারণ আমাদের পুরুষ ও নারী কর্মীরা সেখানে ছিলেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, টুইন টাওয়ারে হামলার ২০ বছর পার হয়ে গেছে। ওই হামলার পর আফগানিস্তানকে স্থিতিশীল করার জন্য যা কিছু করা দরকার ছিল সেটা করার জন্যই ন্যাটো বাহিনী সেখানে গেছে।

আফগানিস্তান তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে দেশটির দোভাষীরা। কাবুল দখলের পর থেকে ভিটেমাটি ছাড়তে লাখ লাখ আফগান ভিড় করে বিমানবন্দরে। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬০টির বেশি দেশ তাদেরকে জায়গা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে। এর মাঝে ২০ হাজার আফগানকে আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী বছরগুলোতে প্রায় ২০ হাজার আফগান নাগরিককে দেশটিতে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে।

টিটিএন/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।