এবার আফগানিস্তান ছাড়ছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৪ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২১

সর্বশেষ দেশ হিসেবে এবার আফগানিস্তান ছাড়ছে ভারত। বিশেষ বিমানে করে কাবুল দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য কর্মীদের সরিয়ে আনা হচ্ছে বলে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক টুইট বার্তায় বলেন, তাদের খুব তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।

বিদেশি দূতাবাসগুলো চলে যাওয়ার ফলে কাবুলে মাত্র তিনটি দেশের দূতাবাস থাকছে। এগুলো হলো- রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তান। ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে যে, তারা দেশটিতে ছোট একটি কূটনৈতিক মিশন রাখবে, তবে এর মধ্যেই তারাও দূতাবাস খালি করে ফেলছে।

এর আগে রাশিয়া জানিয়েছিল যে, তারা তাদের দূতাবাস কর্মীদের একটি অংশকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। দেশটির রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি যিরনভের মঙ্গলবার তালেবান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।

চীনের দূতাবাস জানায়নি যে, তারা কী করতে যাচ্ছে। তবে দেশটিতে থাকা চীনের নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে যে, তারা যেন নিরাপত্তা পরিস্থিতির ব্যাপারে সতর্ক থাকে।

এছাড়া সোমবার (১৬ আগস্ট) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং সাংবাদিকদের জানান, পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে হটিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করা তালেবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে চায় তার দেশ। তিনি বলেন, চীন স্বাধীনভাবে আফগান জনগণের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের অধিকারকে সম্মান করে… আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়তে ইচ্ছুক।

রোববার (১৫ আগস্ট) তালেবান আফগানিস্তান দখল পর থেকেই লোকজনের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। সামনের দিনগুলোতে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়েই যেন জল্পনা শেষ হচ্ছে না। এর মধ্যেই লোকজন দলে দলে আফগানিস্তান থেকে পালানোর চেষ্টা করছে। তবে তালেবানের পক্ষ থেকে বারবার লোকজনকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে ও তারা দেশের জনগণের সেবায় কাজ করবে।

১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসনে ছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেখানে যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে।

অভিযানে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাদের দমন করা হলেও ‘শান্তিরক্ষার স্বার্থে’ সেখানে ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান করছিল পশ্চিমা সেনারা। কিছু বছর পার হওয়ার পর সেখান থেকে ধাপে ধাপে যুক্তরাষ্ট্র বাদে অন্য দেশের সেনাদের ফিরিয়ে নেয়া হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করলে প্রত্যন্ত এলাকা দখল করে থাকা তালেবান কাবুলের ক্ষমতার মসনদে উঠতে জোর লড়াইয়ে নামে। যদিও এর মধ্যে তালেবানের সঙ্গে কাবুলের শাসকগোষ্ঠীর সংঘাতের অবসানে কাতারসহ বিভিন্ন পক্ষের মধ্যস্থতায় নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সব আলোচনাই ভেস্তে গেছে।

টিটিএন/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।