‘জাতীয় স্বার্থে’ প্যারোলে মুক্তি পেলেন স্যামসাং প্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২১
ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং গ্রুপের প্রধান জে ইয়ং লি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। ঘুষ ও দুর্নীতির কেলেঙ্কারির দায়ে কারাগারে ছিলেন তিনি। ‘জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে’ তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানায় দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
খবর বিবিসির।

চলতি বছর জানুয়ারিতে সাজা হওয়ার পর ২শ ৭ দিন জেল খাটলেন দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি জে ইয়ং লি। এর আগে বিচার মন্ত্রণালয় তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল।

কারাগার থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষেপে কথা বলেন জে ইয়ং লি। তিনি বলেন, আমি গভীরভাবে ক্ষমাপ্রার্থী, আমি দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য ভাবছি। আমি মানুষের উদ্বেগ, সমালোচনা, সতর্কতা ও প্রত্যাশার কথা জেনেছি। কথা দিচ্ছি, কঠোর পরিশ্রম করবো।

স্যামসাং ও লির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সরকারি সুবিধা পেতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাইর বন্ধু চোই সুন শিল পরিচালিত সরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে ৪৩ বিলিয়ন অনুদান দেওয়ার। এ পরিপ্রেক্ষিতে পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট পার্ককে অভিশংসনের পক্ষে ভোট পড়ে। যদিও লি এবং স্যামসাং গ্রুপ অপরাধের কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছিল।

৫৩ বছর বয়সী লিকে চলতি বছর জুলাই মাসে আড়াই বছরের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন দেশটির উচ্চ আদালত।

তাকে মুক্তি দেওয়ার সময় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, স্যামসাং প্রধান হিসেবে দেশের স্বার্থে কাজ করবেন লি, এমনটাই প্রত্যাশা। তবে দেশের বাইরে ভ্রমণে গেলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। ফের একই ভুল করলে পুনরায় জেলে যেতে হতে পারে লিকে।

লিকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার কারণ হিসেবে দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, বিশ্বের ১২তম ধনী দেশটির রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী নেতারা মহামারিকালের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্যামসাং গ্রুপের মধ্যে যে নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্তহীনতার সংকট তৈরি হয়েছে তা থেকে উত্তরণের জন্যই তাকে মুক্তি দেওয়া হলো।

এসএনআর/এএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।