কারওয়ান বাজারে ভেজাল মসলা বিক্রি : জেল-জরিমানা
রাজধানীর কাওরান বাজারের মসলা পট্টিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল মসলা উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব)। এসময় র্যাব সাতজনকে আটক করে।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক মো. দিদারুল আলমের নেতৃত্বে এবং বিএসটিআইএর পরিদর্শক সেকান্দার মাহমুদের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। আটক সাতজনকে বিভিন্ন মেয়াদের জেল ও জরিমানা প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রফিকুল ইসলাম(৩০), শফিকুল ইসলাম(৩৫), খলিল হোসেন (৩০), মো. হামিদ (২৮), আব্দুর রব হাওলাদার (৪৫), মো. বেল্লাল (৩৮), রিপন হোসেন(২৫)।
র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক মো. দিদারুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ছয়টি মসলা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল মসলা উদ্ধার করা হয়। এসময় সাতজন আটক করা হয়। তারা সবাই কারখানার কর্মী।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, সুটি (হলুদ রং সাদৃশ্য), ঘাসের বীজ বা ছোট কাওন যা পাখির খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয় তা ভেজাল মসলার মুল উপকরণ। এসব গুড়া করে ক্ষতিকর রং মেশানো হয়। লাল রং মেশালে মরিচের গুড়া হয়ে যায় এবং হলুদ রং মেশালে হলুদের গুড়া হয়ে যায়। তার সঙ্গে পঁচা কাঁচামরিচ শুকিয়ে (পটকা মরিচ) তা গুড়া করে মেশালে হালকা ঝাল হয় আর হলুদের গুড়া খানিকটা আসল হলুদের গুড়া মেশানো হয়। ফলে ভেজাল মসলা সহজে বুঝা যায় না।
তারা আরও জানায়, যে রং তারা মসলায় মেশান তা কাপড় তৈরীর রং। কাওরান বাজার বিভিন্ন দোকান থেকে ৩৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি হিসেবে কিনে এনেছেন। এ রং ক্ষতিকর কেমিক্যাল বিধায় তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, আটককৃতদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মসলা কারখানাকে ২০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে প্রত্যেককে সাত দিনের কারাদণ্ডসহ আরো এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেইউ/এএইচ/আরআইপি