স্কুলছাত্রী হ্যাপির লাশ উত্তোলনের নির্দেশ


প্রকাশিত: ১০:৪২ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

‘ধর্ষণের’ পর হত্যার শিকার মাদারীপুরের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী হ্যাপি আক্তারের লাশ কবর থেকে তুলে আবারো ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হ্যাপির মায়ের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন- ব্যারিস্টার মাসুদ হোসাইন দোলন। সঙ্গে ছিলেন- অদিতি রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন; ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৩ অগাস্ট মাদারীপুর সদরের মোস্তফাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্রী হ্যাপি (১৫) ও তার সহপাঠী প্রতিবেশী সুমাইয়া (১৪) স্কুলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর বিকেলে মাদারীপুর হাসপাতালে তাদের লাশ পাওয়া যায়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট স্কুলে যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মোস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী হ্যাপি ও সুমাইয়া। ওই দিন বিকেলে দু’জনকে অচেতন অবস্থায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান কয়েকজন যুবক। প্রাথমিক চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে হ্যাপি মারা গেলে ওই যুবকরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সুমইয়ার বাবা ১৫ আগস্ট ও হ্যাপির মা এক মাস পর ১৩ সেপ্টেম্বর বিচারিক (নিম্ন) আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। তবে এ ঘটনার ময়নাতদন্তে ধর্ষণের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তাই ধর্ষণের বিষয়ে তদন্তে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তিনি।

কিন্তু বিচারিক আদালত ১৮ অক্টোবর ধর্ষণের মামলায় তদন্ত না করে সুমাইয়ার বাবার করা হত্যা মামলায় তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। যদিও ভিকটিমদের পরিবারের অভিযোগ তাদের ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।

এরপর হ্যাপির মা মুক্তা বেগম ১৫ নভেম্বর হাইকোর্টে বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন। রোববার এ আবেদনের ওপর শুনানি করে আদালত হ্যাপির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।

এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।