পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও ইবিতে ভর্তি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি পরীক্ষার ফরম তোলা বা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কোনো কিছুই প্রয়োজন হয়নি। পরীক্ষা এবং ভাইভাতে অংশ না নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হয়েছেন আল-আমিন নামের এক শিক্ষার্থী। শুধু নামের মিল থাকাতেই এমনটি সম্ভব হয়েছে। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না তার।
ভর্তি কার্যক্রমের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখায় কর্মরত এক কর্মকর্তা এবং ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের প্রভাবশালী একজন নেতা জড়িত রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানা গেছে।
একাডেমিক শাখা সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় আল-আমিন নামে এক শিক্ষার্থী `বি` ইউনিট (রোল ০২৭০২) ও সি ইউনিট (রোল ০২২৪০) মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়। সে উভয় ইউনিটের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে `সি` ইউনিটে লোক প্রশাসন ও `বি` ইউনিটে বাংলা বিভাগে ভর্তির অনুমতি পায়। এরপর আল-আমিন `সি` ইউনিটভুক্ত লোক প্রশাসন বিভাগে ভর্তি হয়।
আল-আমিন ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে এসএসসি (রোল ৪২৭৬৫২) ব্যবসায় শিক্ষা থেকে পাশ করে এবং মিয়া জিন্নাহ আলম ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০১৪ সালে এইসএসসি (রোল ৬২৪৪২৫) ব্যবসায় শিক্ষা থেকে উত্তীর্ণ হয়। তার একই কাগজপত্র নকল করে আল-আমিন নামে অন্য এক ভুয়া শিক্ষার্থী ছবি পরিবর্তন করে বাংলা বিভাগে ভর্তি হয়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাডেমিক শাখার এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, প্রতি বছর ভর্তির সময় তারা জালিয়াতি করে থাকে। অন্য বছরগুলোতে ধরা পড়ে না, এ বছর পড়েছে। প্রশাসন বিষয়টি ভালভাবে দেখলে আরো তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
বিশ্ববিদ্যালয় উপ-রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) এটিএম এমদাদুল আলম জাগো নিউজকে জানান, গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পেরে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউনিট সমন্বয়কারীদের চিঠির মাধ্যমে অবগত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে `বি` ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ইংরেজি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া ওই দুই শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সুপারিশও করা হবে।
এআরএ/আরআইপি