কর্ণাটকের সরকার পতনে পেগাসাস ব্যবহারের অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:২৩ পিএম, ২১ জুলাই ২০২১
ফাইল ছবি

ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার ‘পেগাসাস’ ব্যবহার করে ভারতে রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, শিল্পপতিসহ সরকারি আমলাদের ফোনে আড়িপাতার নতুন নতুন অভিযোগ সামনে আসছে। রাহুল গান্ধীর মতো রাজনীতিক থেকে শুরু করে প্রশান্ত কিশোরের মতো ভোটকৌশলী রয়েছেন সম্ভাব্য নজরদারির তালিকায়। এবার কর্ণাটক সরকারের পতন ঘটাতে পেগাসাস ব্যবহার করে আড়িপাতার অভিযোগ উঠল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, কর্ণাটকে জেডিএস নেতা কুমারস্বামীর নেতৃত্বে জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকার গঠিত হয়েছিল। পরে বিজেপি ওই জোট থেকে বেশ কয়েকজন বিধায়ক ভাগিয়ে নিয়ে সরকারের পতন ঘটায় বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে সম্প্রতিক তদন্ত রিপোর্ট অনুসারে, সেই সময় কুমারস্বামী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী পরমেশ্বর, কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার ফোন হ্যাক করার চেষ্টা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার এক দেহরক্ষীর ফোনেও আড়িপাতার অভিযোগ উঠেছে।

সেই সময় কংগ্রেস ও জেডিএসের ১৭ জন বিধায়ক পদত্যাগ করায় পতন ঘটে জোট সরকারের। বিরোধীদের অভিযোগ, এর পেছনে বিজেপির হাত ছিল।

পেগাসাস দিয়ে সম্ভাব্য আড়িপাতার শিকার যেসব ফোন নম্বর ফাঁস হয়েছে, তার মধ্যে কর্ণাটকের নেতাদের নম্বরও রয়েছে। কিন্তু মোবাইলের ফরেনসিক পরীক্ষা হয়নি বলে তাতে আড়িপাতা হয়েছিল কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

পেগাসাস নিয়ে বিতর্ক শুরুর পর পরমেশ্বর বলেছেন, আমি অবাক হচ্ছি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়েও আমার ফোন হ্যাকিংয়ের চেষ্টা হয়েছে! কেন্দ্র, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া এই কাজ হতে পারে না। আমি পুরোপুরি নিশ্চিত, এতে কেন্দ্রীয় সরকারের হাত রয়েছে।

কংগ্রেস নেতা কে সি বেনুগোপাল বলেন, ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা সরকার গড়েছিলাম। সেই সরকারের পতন ঘটাতে ফোনে আড়িপাতা হয়েছে। দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের ফোনে যদি আড়িপাতা হয়, তাহলে আর নিরাপদ কে?

আর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর মন্তব্য, আমি অবাক হইনি। আমার সরকার পতনের জন্য আড়িপাতার অভিযোগ আগেও উঠেছিল।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

কেএএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।