আর দুই দিন অপেক্ষা করবে পাকিস্তান
গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে আবার ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজ। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সিরিজটি। ভারতের দাবির মুখে আরব আমিরাত থেকে সরিয়ে সিরিজটি শ্রীলংকায়ও খেলতে রাজি হয় পাকিস্তান। এমনকি এই সিরিজ খেলার জন্য পাকিস্তান সরকার অনুমতিও দিয়ে দেয় পিসিবিকে।
তবুও অনিশ্চয়তার ঘেরাটোপ থেকে বের হতে পারছে না পাক-ভারত সিরিজের ভাগ্য। ভারত সরকার এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন নিশ্চয়তা দেয়নি। এ সময় পাকিস্তান সফর করছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তার এই সফরে ভাবা হয়েছিল সিরিজের জট খুলবে।
কিন্তু পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, খুব সহসাই এই জট খোলার কোন আভাস নেই। পাকিস্তানের এত অনুরোধ-উপরোধ সত্ত্বেও ভারত সরকার কোনভাবেই চাচ্ছে না পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ খেলতে। তবে এখন আর অনুরোধ নয়। সরাসরি হার্ডলাইনে চলে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
দেশটির ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান বেশ রাগত স্বরেই জানিয়ে দিলেন, আর মাত্র দুদিন অপেক্ষা করবেন তারা। পিসিবি চেয়ারম্যান বলেন, `ভারত সরকার যদি দুদিনের মধ্যে অনুমতি না দেয় তাহলে সিরিজটা আমরাই স্থগিত করে দেবো। আর এ জন্য সর্বোচ্চ একদিন কিংবা দুদিন অপেক্ষা করতে পারি।`
পিসিবি চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন, যদি আমরাই সিরিজটি বাতিল কিংবা স্থগিত ঘোষণা করি, তাহলে ভারতের সঙ্গে আর কোন ক্রিকেটীয় সম্পর্কের বিষয় থাকবে না হয়তো আমাদের। আর কোন সিরিজ আয়োজনের কথাও বলবো না আমরা।
শাহরিয়ার খানের এমন উত্তেজিত বক্তব্যের সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, পাকিস্তান সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভারত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের অনেক আলোচনা হলেও, একটিবারের জন্যও উঠে আসেনি পাক-ভারত সিরিজের কথা। এ কারণে চরম হতাশ পাকিস্তানের ক্রিকেট মহল।
শাহরিয়ার খান বলেন, `সত্যিকথা বলতে পাকিস্তান-ভারতের মধ্যকার এই সিরিজটার ভাগ্য এখন খুবই অন্ধকার দেখতে পাচ্ছি আমরা। আমাদেরকে বলা হয়েছে, পাকিস্তান শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভারত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি।`
পিসিবি চেয়ারম্যান আরও জানান, `যদি সিরিজটি অনুষ্ঠিতই না হয়, তাহলে নিশ্চিত আমরা ৪০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়ে যাবো। কারণ, শ্রীলংকায় সিরিজের জন্য আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলাম। হোটেল বুকিং দেয়া থেকে শুরু করে অনেক কাজই আমরা সম্পন্ন করে এনেছি।`
আইএইচএস/এমআর