ফ্লোরিডায় ধসে পড়া ভবনে মিলল দমকলকর্মীর ৭ বছরের শিশুর মরদেহ
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে ১২তলা ভবন ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার নবম দিনে শুক্রবার (২ জুলাই) আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে ৭ বছর বয়সী একটি শিশুকন্যাও রয়েছে। সে স্থানীয় একজন দমকলকর্মীর মেয়ে। এ নিয়ে ভবন ধসের ঘটনায় তিনজন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। আর ধ্বংসস্তুপে এখনো অন্তত ১২৬ জন নিখোঁজ। খবর বিবিসির।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ামির ভবনটি ধসে পড়ার নবম দিনেও উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে ধ্বংসস্তুপের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে ওই অঞ্চলে হ্যারিকেন ঝড় ধেয়ে আসার পূর্বাভাস উদ্ধারকর্মীদের মধ্যে আরও বেশি শঙ্কা সৃষ্টি করছে।
মিয়ামির দমকল বাহিনী প্রধান অ্যালান কমিনস্কি বলেন, ‘হতাহতদের উদ্ধার করা খুবই বেদনাদায়ক। গত রাতে আমরা আরও দু’টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। এদের মধ্যে ৭ বছরের একটি শিশুর নিথর দেহও উদ্ধার করেছি, সে আমাদের একজন দমকলকর্মীর সন্তান। আরেকজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) মিয়ামির সাগর তীরবর্তী সার্ফসাইড এলাকায় চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউথ নামের ১৫৬ ইউনিটের ১২ তলা অ্যাপার্টমেন্টের বড় একটি অংশ ধসে পড়ে। ঘটনার সময় ভবনটির অধিকাংশ বাসিন্দা ঘুমিয়ে ছিলেন।
তবে ঠিক কী কারণে ভবনটির একটি অংশ ধসে পড়ল তা এখনো পরিষ্কার হয়নি। কিন্তু ২০১৮ সালে প্রকৌশলীদের একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ৪০ বছরের পুরনো ভবনটির আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং গ্যারেজে কাঠামোগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
এএএইচ/এমএস