নেত্রকোনা ট্র্যাজেডি দিবস আজ


প্রকাশিত: ০৩:৩৮ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫

আজ ৮ ডিসেম্বর। নেত্রকোনা ট্র্যাজেডি দিবস। ২০০৫ সালের এই দিনে নেত্রকোনা শহরের অজহর রোডস্থ উদীচী কার্যালয়ের সামনে জেএমবির আত্মঘাতি বোমা হামলায় হামলাকারীসহ নেত্রকোনা উদীচী শিল্প গোষ্ঠীর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খাজা হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদিপ্তা পাল শেলী, যাদব দাসসহ ৯ জন নিহত ও কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়।

বোমা হামলার ১০ বছর পার হলেও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা সরকার বা কোনো বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে আর্থিক অনুদান পায়নি। এমনকি সরকারি কোনো উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেসব পরিবারকে সান্ত্বনার বাণী শুনাতেও যাননি।  

২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রয়ারি ঢাকায় দ্রুত বিচার আদালত-২ এই বোমা হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সালাউদ্দিন, আসাদুজ্জামান এবং ইউনূস নামে ৩ জেএমবির সক্রিয় সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও আজ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি । এদিকে জেএমবির স্থানীয় আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ।

Netrokona

এদিকে, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা আর্থিক অনটনে দিনাতিপাত করছেন। অসুস্থদের চিকিৎসা করার সঙ্গতিও নেই। শেলী, খাজা হায়দারের পরিবারের অবস্থা এখন বড়ই করুণ। নিহত খাজা হায়দারের স্ত্রী শাহানাজ বেগম জাগো নিউজকে বলেন, দুই সন্তান নিয়ে চলতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। এ পযর্ন্ত কেউ সামান্য সাহায্যের হাত বাড়াননি।

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মেয়েকে হারিয়ে সংসারের সমস্যার কথা জাগো নিউজকে জানালেন নিহত শেলীর মা অর্পনা পাল।

উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর নেত্রকোনার জেলা শাখার সহ-সভাপতি মুখলেছুর রহমান বলেন, এখনও সংগঠনের শিল্পীরা আতঙ্কে আছেন। আর নিহতদের কোনো আর্থিক সহায়তা না পাওয়াতে হতাশা নেমে এসেছে সংগঠনের সদস্যদের মাঝে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সাহায্য ও জেএমবির সদস্যদের নেত্রকোনায় আশ্রয় প্রশ্রয়দাতাদের চিহ্নিত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান তিনি।
 
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ড. তরুণ কান্তি শিকদার বলেন, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জেলা প্রসাশনের মাধ্যমে সহায়তা করার সুযোগ রয়েছে।

কামাল হোসাইন/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।