আইএসের বিরুদ্ধে সেনা পাঠানোর পক্ষে অধিকাংশ মার্কিনি


প্রকাশিত: ১১:৫৭ এএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলার পর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন দেশটির নাগরিকরা। সিএনএন ও ওআরসি ইন্টারন্যাশনালের করা এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। একইসঙ্গে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্থলসেনা পাঠানোর পক্ষে তাদের মতামত জানিয়েছেন।

সিএনএনের ওই জরিপে অংশ নেয়া ৫৩ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়া এবং ইরাকে মার্কিন স্থল সেনা মোতায়েন করা উচিত। ৬৮ শতাংশ আমেরিকান সন্ত্রাসবাদী এই সংগঠনের বিপক্ষে মার্কিন সেনাবাহিনীর জবাব যথেষ্ট আক্রমণাত্মক নয় বলে ভোট দিয়েছেন।

সামগ্রিকভাবে ৬০ শতাংশ মার্কিনি মনে করেন, ইরাক এবং সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ ভালো নয়, এর আগে গত অক্টোবরে ৬৭ শতাংশ আমেরিকান এই পদক্ষেপকে দুর্বল বলে ভোট দিয়েছিলেন।

দেশটির ডেমোক্রেটিক, ইনডিপেন্ডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির একটি বড় অংশ মনে করেন আইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন সেনাবাহিনীর জবাব যথেষ্ট আক্রমণাত্মক নয়। ৫২ শতাংশ ডেমোক্রেট, ৬৬ শতাংশ ইনডিপেন্ডেন্ট ও রিপাবলিকান দলের ৯০ শতাংশ সমর্থক এটি মনে করেন। তবে সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয়ের বিষয়ে বড় বিভাজনের চিত্র উঠে এসেছে। ৩৮ শতাংশ আমেরিকান বলছেন সিরিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া উচিত, ৬১ শতাংশের মতে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া উচিত নয়, এছাড়া ৬০ শতাংশ ডেমোক্রেট মনে করেন শরণার্থীদের আশ্রয়ের বিষয়টি ভাবা যেতে পারে।

ইরাক অথবা সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন স্থল সেনা মোতায়েন করা উচিত বলে ডেমোক্রেট দলের ৩৬ শতাংশ সমর্থক মনে করেন, যেখানে রিপাবলিকান দলের ৬৯ শতাংশ রিপাবলিকান সেনা মোতায়েনের পক্ষে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আই্এস বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে বলে জরিপে উঠে এসেছে। এর আগে গত মে মাসে ৭৬ শতাংশ আশঙ্কা প্রকাশ করলেও এবারের জরিপে  ৮১ শতাংশ আমেরিকান হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

সিএনএন ও ওআরসি ২৭ ডিসেম্বর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত এ জরিপ পরিচালনা করেছে। ১০২০ জন বিভিন্ন বয়সের মানুষের কাছে ফোন করে এ বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।