এবার বরিশালের সংগ্রহ মাত্র ১০৫
আবারও ব্যর্থ গেইল, ব্যর্থ তার দল বরিশাল বুলসও। নিজের প্রথম ম্যাচেই তিনি আউট হয়েছিলেন ৮ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচেও করলেন ৮ রান। খেলেছেন ১১ বল। ঠিক গেইলীয় ব্যাটিংয়ের সঙ্গে যায় না তার এই দুটি ইনিংস। ফল যা হবার তাই, প্রভাব পড়ছে দলের ওপরও। গেইলের প্রথম ম্যাচে বরিশাল অলআউট হয়েছিল ৫৮ রানে। আজ অলআউট না হলেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সামনে মাত্র ১০৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পেরেছে বরিশাল।
টস জিতেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানালেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। ব্যাট করতে নেমে গেইল আর এভিন লুইসের ওপর ভর করে বড় স্কোর গড়ারই স্বপ্ন ছিল বরিশালের। কিন্তু দলীয় ২১ রানে শোয়েব মালিকের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে গেলেন গেইল।
চট্টগ্রামের মাঠে ঢাকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা এভিন লুইস ২৩ বলে খেললেন ১৫ রানের ইনিংস। বল বেশি খরচ করে কম রানের ধারাবাহিকতা পরের ব্যাটসম্যানদের মধ্যেও থাকল। রনি তালুকদার খেললেন ২৩ বল। রান করেছেন ১৯টি। মেহেদি মারূফ ৩ বল খেলে আউট হয়ে গেছেন ০ রানে।
ড্যারেন স্টিভেন্স, আসহার জাইদি, আবু হায়দার রনি কিংবা শোয়েব মালিকের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানই তুলতে পারছিল না বরিশাল। সর্বোচ্চ ২৬ রান করলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ২৭ বল খেলে। সাব্বির রহমান খেললেন ২১ বলে ১৭ রানের ইনিংস। সেকুগে প্রসন্ন ১০ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রানে থেমে যায় বরিশালের ইনিংস। টানা দ্বিতীয় ম্যাচ বোলিং করলেন না মাশরাফি। দলের অধিনায়ক বোলিং না করলেও অন্যরা দারুন নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেন। আসহার জাইদি ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি, ড্যারেন স্টিভেন্স, আবু হায়দার রনি এবং শোয়েব মালিক।
আইএইচএস/পিআর