ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে হামাসের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, ১৭ জুন ২০২১

সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে গেছে একটি জরিপে উঠে এসেছে। ফিলিস্তিনি সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ জরিপটি পরিচালনা করেছে।

ওই জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, শতকরা ৭৭ ভাগ ফিলিস্তিনি জনগণ মনে করেন দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক যুদ্ধে হামাস বিজয়ী হয়েছে। লেবাননের আল-মায়াদিন নিউজ নেটওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের এ হাজার ২শ ফিলিস্তিনির ওপর এই জরিপ পরিচালিত হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৫৩ ভাগ উত্তরদাতা বলেছেন, গাজা ও পশ্চিম তীরের পুরো ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা হামাসের রয়েছে। অন্যদিকে শতকরা মাত্র ১৪ ভাগ বলেছেন, মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ আন্দোলন ফিলিস্তিনিদের নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার রাখে।

jagonews24

জরিপে অংশগ্রহণকারী শতকরা ৬৫ ভাগ ফিলিস্তিনি মনে করেন, হামাস গাজা উপত্যকা থেকে রকেট হামলা চালিয়ে ইসরায়েলকে পূর্ব জেরুজালেমের আল-কুদসের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ অভিযান ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে।

গত মাসের শুরুর দিকে আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি সেনাদের ব্যাপক দমন অভিযান ও শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে হামাসসহ বিভিন্ন প্রতিরোধ আন্দোলন। দখলদার ইসরায়েল টানা ১২ দিন ধরে গাজা উপত্যকার বেসামরিক অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়ে তার জবাব দেয়।

ইসরায়েল বিমান হামলা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করে হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনসহ অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠন। তারা এই ১২ দিনে জেরুজালেম, তেল আবিব এমনকি দূরবর্তী হাইফা শহরে চার হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে ইসরায়েলকে চাপে ফেলে দিয়েছিল।ফিলিস্তিনিদের রকেটের পাল্লা ও নিখুঁতভাবে আঘাত হানার ক্ষমতা দেখে তেল আবিব ১২ দিনের মাথায় যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়।

টিটিএন/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।