রমেকে দুই মাসের ছেলের পেটে মেয়ে শিশু


প্রকাশিত: ১০:২২ এএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে দুই মাসের ছেলের পেটে মেয়ে শিশুর জন্ম নেয়ার বিরল ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ সকলের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।  

শনিবার সকালে অপারেশন করে মেয়ে শিশুর ভ্রুণ বের করে চিকিৎসকরা। মেয়ে শিশুটির হাত পা মস্তিষ্ক, মাথার চুলসহ মানুষের যেসব অর্গান থাকার কথা তার সবই পাওয়া যায়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বাবুল কুমার সাহার নেতৃত্বে ছয় চিকিৎসক শিশুটির পেট অপরাশেন করে মেয়ে শিশুর ভ্রুণ বের করেন।

এ ব্যাপারে শিশু সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা. বাবুল কুমার সাহা জাগো নিউজকে জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রতের বাজার গ্রামের পোশাক শ্রমিক সোহেলের স্ত্রী মুন্নী বেগম দুই মাস আগে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের কিছুদিন পর শিশুটির পেট ফুলতে থাকে। এরপর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।

সেখানে আলট্রাসনোগ্রাম আর সিটি স্ক্যান করার পর শিশুটির পেটে মেয়ে শিশুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর শনিবার সকালে সফল অপারেশন করে শিশুটির পেট থেকে একটি মেয়ে শিশুর ভ্রুণ বের করা হয়।

রমেক চিকিৎসক জানান, অপারেশন করে দেখা যায় মেয়ে শিশুর শরীরে প্রায় সবগুলো অর্গান রয়েছে। এটাকে এক ধরনের `মেজিউড টেরাটোনা` বলা যায়। যেভাবে শিশুটি সম্পূর্ণ আকৃতি ধারণ করেছে আমরা এটাকে শিশুর পেটে শিশু বলছি। অপারেশন করার পরে শিশুটির জ্ঞান ফিরেছে। এখন সে সুস্থ রয়েছে।

এদিকে, শিশুর পেটে শিশু হবার খবর জানাজানি হওয়ায় হাসপাতাল জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দলে দলে চিকিৎসক-নার্সসহ সাধারণ মানুষ সেখানে ভিড় করছেন। বর্তমানে শিশুটি রংপুর মেডিকল কলেজ হাসপাতালের ১৮ নম্বর শিশু সার্জারী বিভাগে ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

জিতু কবীর/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।