খাদ্যবাহিত রোগব্যাধিতে ঘণ্টায় অর্ধশত মানুষের মৃত্যু
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্যবাহিত রোগব্যাধিতে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় অর্ধশত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। একই সময়ে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১৪ জন শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)`র ‘ইস্টিমেটস অব দ্য গ্লোবাল বার্ডেন অব ফুডবোরনড ডিজিজেজ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রথমবারের মতো প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের খাবারে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, প্যারাসাইটস, টক্সিন ও কেমিক্যালসহ মোট ৩১ ধরনের অ্যাজেন্টের সংক্রমণের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর ৬০ কোটি মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। একই কারণে বিশ্বে প্রতি বছর ৪ লাখ ২০ হাজার প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ ও পাঁচ বছরের কম বয়সী ১ লাখ ২৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হচ্ছে।
আফ্রিকা ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে খাদ্যবাহিত অসুস্থ মানুষের সংখ্যা সর্বাধিক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে গত এক দশক যাবত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সারাবিশ্বে খাদ্যবাহিত মোট রোগব্যাধির মধ্যে অর্ধেকই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর ৫৫ কোটি মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় এবং ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। আক্রান্তদের মধ্যে ২২ কোটিই শিশু ও প্রতি বছর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৯৬ হাজার শিশু মারা যায়।
ডায়রিয়া ছাড়াও খাদ্য দূষণের কারণে টাইফয়েড, হেপাটাইটিস এ, আলফাটক্সিন জনিত কারণে মানুষ অসুস্থ হয়। দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য দূষণের শিকার ব্যক্তির ক্যান্সার, কিডনি ও লিভার ফেইলিউরও হতে পারে। অনিরাপদ পানি খাদ্য দূষণ এর অন্যতম কারণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. মার্গারেট চ্যাং বলেছেন, যে সকল অ্যাজেন্টের কারণে খাবার দূষিত হয়ে মানুষ অসুস্থ কিংবা মৃত্যুবরণ করছে তা প্রতিরোধে সরকার, জনগণ ও খাদ্য শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
এমইউ/আরএস/আরআইপি