ইয়াসে ধ্বংসস্তূপ দিঘা, জলোচ্ছ্বাসে ঘরছাড়া অনেকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১১ এএম, ২৮ মে ২০২১

অডিও শুনুন

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বঙ্গোপসাগর। এখন সমুদ্র শান্ত। তবে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের চিহ্ন রয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গে সমুদ্র তীরবর্তী শহর দিঘায়।

শুক্রবার (২৮ মে) সকালে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কলকাতার গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওল্ড দিঘার ব্লু ভিউ ঘাটের কাছে সারি সারি সৌখিন জিনিসপত্রের দোকানগুলোর দরজাও উড়ে গেছে। ভেতরের জিনিসপত্র নিশ্চিহ্ন। পাশে অবস্থিত বিশ্ববাংলা উদ্যান লণ্ডভণ্ড। লোহার রেলিং, ফুলের টব পড়ে আছে যেখানে-সেখানে। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সৈকত বরাবর বসানো রংবেরংয়ের লাইটপোস্টগুলোও ভেঙে পড়েছে। ব্লু ভিউ ঘাটের কাছে যেতেই চোখে পড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রাশি রাশি কালো পাথর। স্থানীয়রা জানান, একেবারে নিউ দিঘা পর্যন্ত এরকমই অবস্থা।

এদিন সকালে দিঘা পরিদর্শনে যান স্থানীয় বিধানসভা সদস্য এবং পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি।

তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব দিঘাকে স্বাভাবিক রূপে ফেরানোই আমাদের লক্ষ্য। আশা করছি, এক মাসের মধ্যেই আমরা সেই কাজ করতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের মতো করে কাজ শুরু করে দিয়েছি। আজ (শুক্রবার) মুখ্যমন্ত্রী আসবেন। তিনি সব দেখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিলে সেভাবে কাজ করব।’

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে দেখা যায় সঙ্গে মাদুর, বালিশ, বিছানা আর কেউ কেউ কোলে সন্তান নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘পাকা বাড়ির ভেতর থেকে ফ্রিজ, টিভি সব ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে সমুদ্র। আমি বুধবার রাতেও বাড়ি ছাড়িনি। কিন্তু খাবার পানি কিছু নেই। তাই সবাই বেরিয়ে পড়েছি।’

এদিন তাজপুর থেকে শঙ্করপুর যাওয়ার পথে মেরিন ড্রাইভের কাছে নির্মাণাধীন কংক্রিটের বাঁধ জলোচ্ছ্বাসে অনেকটাই ভেঙেছে। রাস্তার অবস্থাও শোচনীয়। পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর, লছিমপুর, জলধায় অধিকাংশ বাড়ি এখনও পানিবন্দি। অনেকেই বড় বাঁধের পাশে দোকানে আশ্রয় নিয়েছেন। অসহায় গ্রামবাসীরা জানান, সরকারি ত্রাণ শিবিরে খাবার, পানীয় জল কিছুই নেই। তাছাড়া ত্রাণ শিবিরের ভবনও বিপজ্জনক।

এসএস/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।