ইসরায়েলের ‘সরল সমীকরণ’ বদলে দিল হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ১৫ মে ২০২১

পবিত্র রমজানের শেষ সপ্তাহজুড়ে পূর্ব ফিলিস্তিনের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে মুসলিমদের উচ্ছেদ করে ইহুদিদের অবৈধ বসতি স্থাপন এবং পবিত্র আল-আকসায় ঢুকে নামাজরত নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী।

পবিত্র আল-আকসায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার পর গত ১০ মে বিকেলে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েকটি রকেট ছুঁড়ে প্রতিবাদ জানায় ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এরপরই গাজা উপত্যকায় সর্বশক্তি দিয়ে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। একের পর এক বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৩৯ শিশুসহ ১৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

jagonews24

তবে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী হামলা শুরুর পর পাল্টা জবাব দেয়া শুরু করেন হামাস যোদ্ধারা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী- ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাস। এতে ৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।

হামাসের রকেট হামলা ঠেকাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ‘আইরন ডোম’ ব্যবহার করছে ইসরায়েল। এরপরও হামাসের অব্যাহত রকেট হামলায় দিশেহারা ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসের এমন শক্তিশালী পাল্টা জবাব ইসরায়েলি বাহিনীর কল্পনার বাইরে ছিল বলে জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

jagonews24

বিষয়টি নিয়ে ইরানের তাসনিম নিউজকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের অন্যতম মুখপাত্র ফাউজি বারহুম।

তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের মুখে হামাস তেল আবিবের ওপর রক্তক্ষয়ী পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে প্রতিশোধের প্রক্রিয়া স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।

ফাউজি বারহুম বলেন, হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের যেকোনো হামলার উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত। হামাস চলমান সংঘাতে গোলার জবাবে গোলা, শহরের বদলে শহর এবং ক্ষেপণাস্ত্রের জবাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে সমীকরণ বদলে দিতে পেরেছে।

jagonews24

হামাস মুখপাত্র আরও বলেন, হামাস যোদ্ধারা তেল আবিব লক্ষ্য করে মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে ১৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, এটি ছিল ইহুদিবাদী ইসরায়েলের জন্য নজিরবিহীন ঘটনা।

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের সেনারা চলমান সংঘাত হয়তো স্বল্প মেয়াদে শেষ করবে। কিন্তু তারা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের অংশ হিসেবে দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছে। তবে সংঘাত যতো দীর্ঘ হোক না কেন, তাতে কিছু আসে যায় না। আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।’

ফাউজি বারহুম বলেন, ইসরায়েল এই সংঘাত থেকে কোনো কিছু অর্জন করতে পারবে না। বরং তারা ২০১২ ও ২০১৪ সালের মতো যুদ্ধবিরতি চেয়ে মধ্যস্থতাকারী ধরবে।

এএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।