ফের রক্তাক্ত মিয়ানমার, গুলিতে ঝরল ৮ বিক্ষোভকারীর প্রাণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৮ এএম, ০৩ মে ২০২১

অডিও শুনুন

বেশ কয়েকদিন বিরতি দিয়ে আবারও গণতন্ত্রকামীদের রক্তে ভিজল মিয়ানমার। রোববার সেখানে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত আটজন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, ‘বৈশ্বিক মিয়ানমার বসন্ত বিপ্লব’-এর সমর্থনে রোববার মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। এদিন অভ্যুত্থানবিরোধী সমাবেশ হয়েছে দেশটির বাইরেও।

বিক্ষোভের আয়োজকরা এক বিবৃতিতে ‘মিয়ানমারের জনগণের ঐক্যের কণ্ঠে বিশ্বকে কাঁপিয়ে’ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

jagonews24

বার্তা সংস্থা মিজিমার খবর অনুসারে, বিক্ষোভের সময় দুইজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দেশটির বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে।

এর আগেই স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতি বন্দুক তাক করে রাখা এক ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করে। বলা হচ্ছে, সাদা পোশাকের ওই ব্যক্তি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।

এদিন অন্তত তিনজন মারা গেছেন মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ওয়েটলেটে। উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শান রাজ্যের দুটি শহরে প্রাণ হারিয়েছেন আরও দুজন। এছাড়া উত্তরাঞ্চলীয় পাকান্ত শহরে হত্যা করা হয়েছে আরেক বিক্ষোভকারীকে।

গুলিতে নিহত হওয়ার এসব ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মুখপাত্রও এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য সাড়া দেননি।

গুলির পাশাপাশি রোববার ইয়াঙ্গুনের বিভিন্ন অংশে বোমা বিস্ফোরণেরও খবর পাওয়া গেছে। তবে কেউ এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।

jagonews24

সম্প্রতি শহরটিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বেড়েছে। সরকারি কর্তৃপক্ষ সেগুলোকে ‘উস্কানি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংগঠন অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) জানিয়েছে, মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এপর্যন্ত জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৭৬৫ জন নিহত হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে কমপক্ষে ৪ হাজার ৬০৯ জনকে।

তবে এএপিপি’কে বেআইনি সংগঠন স্বীকৃতি দিয়ে মিয়ানমারের সামরিক সরকার দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত সেখানে ২৫৮ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৭ জন পুলিশ ও সাতজন সেনা কর্মকর্তাও রয়েছেন।

কেএএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।