ঘাসফুলের রোমান্টিকতায় স্ত্রীকে চমকে দিলেন বাইডেন!
একজনের বয়স ৭৮, আরেকজনের ৬৯। সংসার করছেন প্রায় ৪৪ বছর ধরে। তবে রোমান্টিকতায় বিন্দুমাত্র ছেদ পড়েনি এ দম্পতির। আজও ছোটখাটো বিষয়গুলোতে তারা খুঁজে নেন ভালোবাসা, বুঝিয়ে দেন একে অপরের প্রতি অগাধ প্রেম। এমন অসাধারণ রোমান্টিক যুগল আর কেউ নন, স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।
গত বৃহস্পতিবার জর্জিয়া যাচ্ছিলেন বাইডেন দম্পতি। সে জন্য হোয়াইট হাউস থেকে বেরও হয়েছিলেন তারা। আচমকা বসে পড়েন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। মুহূর্তেই ছোট্ট এক উপহারে চমকে দেন প্রিয়তমা স্ত্রীকে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের প্রেসিডেন্ট স্ত্রীকে উপহার দিচ্ছেন শুনলে হয়তো অনেকের মনেই বড় দামী কোনও কিছুর কথা মনে হবে। তবে ভালোবাসা বোঝাতে এমন কিছুর দরকার পড়েনি বাইডেনের। জিলকে তিনি উপহার দিয়েছেন মাটি থেকে কুড়ানো ছোট্ট একটি ঘাসফুল।
জানা যায়, আটলান্টায় একটি সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি। পথিমধ্যে জর্জিয়ার প্লেইনসে থামার কথা তাদের। সেখানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও তার স্ত্রী রোজালিন কার্টারের সঙ্গে দেখা করবেন বাইডেন দম্পতি।
সফরের উদ্দেশ্যে হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণ পেরিয়ে মেরিন ওয়ান হেলিকপ্টারে উঠতে যাচ্ছিলেন বাইডেন ও জিল। হঠাৎ বসে পড়েন বাইডেন। তা দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন জিল। একটু পরেই উঠে দাঁড়িয়ে হাস্যোজ্জ্বল মুখে স্ত্রীর দিকে ছোট্ট একটা ঘাসফুল এগিয়ে দেন জো বাইডেন। আর তা খুশেই মনেই গ্রহণ করেন ফার্স্ট লেডি। এরপর স্বামীর দেয়া উপহার সযত্নে সঙ্গে নিয়ে উঠে বসেন হেলিকপ্টারে।
তাদের এমন রোমান্টিক দৃশ্য ধরা পড়েছে গণমাধ্যমের ক্যামেরায়। ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সেই ছবিগুলো।
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে একে অপরের প্রতি ভালোবাসার নমুনা দেখিয়েছেন বাইডেন দম্পতি। ২০০৯ সালের বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বাইডেনের অফিসের পুরো জানালাজুড়ে ‘জো লাভস জিল’ (জো জিলকে ভালোবাসে) লিখে দিয়েছিলেন জিল বাইডেন। আর চলতি বছরের শুরুতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেকের দিন স্ত্রীকে গন্ধরাজ ফুলের কর্সেজ (একধরনের ব্রেসলেট) উপহার দিয়েছিলেন জো বাইডেন।
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রথম স্ত্রী ও কন্যার মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন একা কাটিয়েছেন জো বাইডেন। ১৯৭৫ সালে এক ব্লাইন্ড ডেট-এ গিয়ে জিলের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। মন দেয়া-নেয়া গিয়েছিল মূলত সেদিনই। এর দুই বছরের পরেই বিয়ে করেন তারা। সেই থেকে একে অপরের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে আছেন এখনও।
সূত্র: ইনসাইডার, উইকিপিডিয়া
কেএএ/এমএস