গণতন্ত্রের মুখোশধারীদের নিষ্ক্রিয় করতে হবে
জঙ্গিমুক্ত নিরাপদ ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে গণতন্ত্রের মুখোশপরা আগুনসন্ত্রাসী খালেদা-বিএনপি-জামায়াত-জেএমবি চক্রকে নিষ্ক্রিয় করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহা’র ২৮তম স্মরণসভা’য় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
গণতন্ত্রের মুখোশধারীদের নিষ্ক্রিয় করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১৪ দলের নেতৃত্বে মহাজোটের যে জঙ্গিবিরোধী ঐক্য গড়ে উঠেছে, বামপন্থী দলগুলোর সেই ঐক্যে শামিল হওয়া উচিত বলে জানান হাসানুল হক ইনু।
অনুষ্ঠানের আয়োজক বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী কমরেড দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবী সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ্ কামাল।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশে আর কোনোদিন সামরিক, জঙ্গি-রাজাকারের শাসন আসবে না, জনগণের এই নিশ্চয়তা অর্জন করতে হবে। সেই লক্ষ্যে কর্মপদ্ধতি নির্ধারণের মধ্য দিয়েই দেশপ্রেমিক ও সাম্যবাদী নেতা কমরেড তোয়াহা’র প্রতি যোগ্য সম্মান দেখানো সম্ভব।’
‘বিএনপি-জামায়াত-জেএমবি ক্ষমতাচ্যুত হলেও তারা রাজনীতির ময়দান ছেড়ে যায়নি, তাই দেশ এখনও বিপদের মধ্যেই আছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশরক্ষায় এদের বিরুদ্ধে মহাজোটের ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই।’
এদিকে আজ ‘ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতির আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের দাবিতে বাংলাদেশের জনগণ দেশটির সঙ্গে রয়েছে।’ এসময় আল-আকসা মসজিদকে দ্বিখন্ডিত না করার পক্ষেও দাবি ব্যক্ত করেন তথ্যমন্ত্রী।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. ইঞ্জিনিয়ার এম. এ. কাসেমসহ বিশিষ্টজনেরা তাদের বক্তব্যে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলি হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান।
একে/আরআইপি