পানির অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভারতকে বাধ্য করতে হবে
তিস্তা নদীর পানির অধিকার আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তাই এ অধিকার আদায়ে ভারতকে বাধ্য করতে হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা না পেলে রংপুর অঞ্চল মরুভূমি হয়ে পড়বে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দুই দেশের জনগনের পারস্পারিক সর্ম্পক উন্নয়ন ও কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪টি নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে হবে। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে।
রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে আয়োজিত তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও দাবিতে রংপুর বিভাগীয় কনভেনশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিগত সময়ে বিভিন্ন সামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও তিস্তা নদীর পানি নিয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর তিস্তার ন্যায্য হিস্যা আদায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করছিল। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তা চুক্তিতে সম্মত হলেও পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের কারেণ তা থমকে আছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেথ হাসিনার নেতৃত্বে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য অধিকার আদায় করতে তৃণমূল পর্যায়ে গণ আন্দোলন তৈরির আহ্বান জানান তিনি।
তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও নদী বিশ্লেষক ড. তুহিন ওয়াদুদের সঞ্চালনে আরো বক্তব্য রাখেন তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ইয়াাসন আলী, কৃষক নেতা মাহমুদুল হাসান মানিক, তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির রংপুর জেলার আহ্বায়ক অশোক সরকার প্রমুখ।
জিতু কবীর/এআরএ/আরআইপি